অনলাইন সিএনএন; যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এতে শামিল হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন রাজ্যে সড়কে তারা অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। এরই মধ্যে পোড়ানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। রাস্তায় টানা হয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর গত তিন দিন ধরে এ বিক্ষোভ চলছে।
আগামীকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ছুটির দিন। এদিন বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। বিক্ষোভের অন্যতম একটি স্থান হলো নিউ ইয়র্কে ট্রাম্প টাওয়ার। সেখানে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন শশী রবিন রবিনোউটজ। কেন তিনি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, হিলারি ক্লিনটনকে বাদ দিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এতে আমি কতটা বীতশ্রদ্ধ হয়েছি তা প্রকাশের ভাষা আমার নেই। মিয়ামিতে কয়েক শত মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন বিসকেইনি বুলভার্ডে। সেখানে তারা স্লোগান তোলেন ‘লাভ ট্রাম্পস হেট’ অর্থাৎ ট্রা¤েপর ঘৃণাকে ভালবাসো। এসব বিক্ষোভকারীর হাতে বিভিন্ন ব্যানার। তাতে লেখাÑ আমেরিকাকে শেষ করে দিতে আর কত বেশি রায় প্রয়োজন। ডব্লিউএসভিএন-এর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে কিছু বিক্ষোভকারী ইন্টারস্টেট ৯৫ ক্রসিং দিয়ে হাঁটছেন। এতে অনেক গাড়ি আটকা পড়ে। এ সময় সেখানে চার লেনের ট্রাফিক ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। আইওয়া সিটি পুলিশ বিভাগের সার্জেন্ট ক্রিস আকারস বলেছেন, প্রায় ৭৫ জন বিক্ষোভকারী আইওয়া সিটির ইন্টারস্টেট ৮০ পয়েন্টকে স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়। তবে সেখান থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নি। অন্য কোনো শহর থেকেও কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায় নি। তবে ডালাসে ট্রাম্পের প্রতিকৃতি রাস্তায় টেনে নিতে দেখা গেছে কিছু বিক্ষোভকারীকে। এ সময় তারা ওই প্রতিকৃতিতে লাথিও মারে। একটি দোকানের জানালা ভাঙচুরের খবরও পাওয়া গেছে। আটলান্টায় বিক্ষোভ করেছে প্রায় ৫০০ মানুষ। আলটালান্টা পুলিশের মুখপাত্র লুকাজ সাজদাক বলেছেন, তারা একটি মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরা তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। তবে সেখানেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নি। জর্জিয়া স্টেট ক্যাপিটল ভবনের কাছে আমেরিকার একটি পগাকা পোড়ানো হয়েছে। সঞ্জয় মেনডোনকা নামে এক ব্যক্তি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের ও আমাদের সন্তানদের জন্য শুভ নয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি আমার সন্তানদের জন্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু মানুষ অসহায় বোধ করছে। কেন বিক্ষোভ করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে ২০ বছর বয়সী অ্যালেক্স হারিরি বলেছেন, আমি যে সম্প্রদায়কে জানি সেখানকার কাউকে সমর্থন করেন না ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কে ৫৮ তলা বিশিষ্ট ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে নতুন করে বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে নিক ট্রুসডেলে বলেছেন, আমি মনে করি ট্রাম্পের উচিত আমাদের মধ্যকার বিভক্তি, ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা তার নিন্দা জানাই।