জাতিসংঘের বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সূত্রের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কমিশনারের দপ্তর জানায়, ওই ৪০ জন বেসামরিক ব্যক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনে গুলি করে হত্যা করে আইএস। হত্যার পর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটিতে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এ ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহারে আইএসের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগে মসুলের কেন্দ্রস্থলে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসের নিজস্ব আদালতের নির্দেশে ওই বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
নিহত ৪০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা ও ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগ আনে আইএস।
জাতিসংঘ বলছে, পরদিন বুধবারও অন্তত ২০ জন বেসামরিক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে আইএস। মসুলের উত্তরাঞ্চলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়।
জাতিসংঘ বলছে, আইএস তাদের সামরিক কাজে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করছে। এ ঘটনায় জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন।
আইএসের কাছ থেকে মসুল পুনর্দখলে অভিযান চালাচ্ছে ইরাকি বাহিনী। তাদের এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট সহায়তা দিচ্ছে।