জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবশান ঘটিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, নিউজ পোর্টাল, ফেসবুকে সাত দিন ধরে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার আট দিন পর খোঁজ মিলেছে এনজিও কর্মী রবির ১১০ পিচ ইয়াবা সহ গ্রেফতার দেখানো হয়।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ বুধবার গভির রাত্রে এনজিও কর্মী রবিউল ইসলাম রবিকে ১১০ পিচ ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ জজ কোর্টে চালান করে। পরে মহামান্য আদালত তাকে জামিন না করে থানা হাজতে প্রেরণ করে বলে সাংবাদিককে জানিয়েছেন রবির স্ত্রী কোকিলা ।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় এলাকা থেকে সাদা পোশাকে রবিউল ইসলাম রবি নামের এক এনজিও কর্মীকে জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল ইমরানের মাধ্যমে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিউল ইসলামের স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়ে বলেন, রবিউল ইসলাম শহরের চাকলাপাড়ার মৃত লুৎফর বিশ্বাসের ছেলে। গত ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে ছোট ভাই শাহিনের সাথে করে মোবাইল কেনার উদ্দেশ্যে ঝিনাইদহ শহরে যান।
ঝিনাইদহ শহরের পোষ্ট অফিস মোড় থেকে ইমরান নামে জেমিনির কনেস্টেবল তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সময় রবির সাথে থাকা শাহীন, স্থানীয় দোকানদার ও আশপাশে দাড়িয়ে থাকা লোকজন দেখেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু।
রবিকে সেখান থেকে গলির মধ্যে নিয়ে সাদা একটি মাইক্রোবাসে অস্ত্রেও মুখে তুলে নেয় জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল ইমরান। সেই থেকে আজ অবধি সাত দিন ধরে এনজিও কর্মী রবিউল ইসলাম রবি নিখোঁজ আছেন।
এরপর থেকেই রবি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার ও মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানায় রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু জিডি করতে গেলে ডিউটি অফিসার বলেন তিন, চার দিন পরে আসবেন।
পরবর্তিতে আবারো মঙ্গলবার সকালে রবির স্ত্রী ঝিনাইদহ সদর থানায় জিডি করতে গেলে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার কোকিলা আক্তার রানুর দেওয়া জিডি পত্রটি নিয়ে তার অফিস ড্রয়ারে রেখে দেয় বলে জানিয়েছেন, রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু।
কোকিলা আরো বলেন, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আমি, আমার কন্যা ও রবির আরো দুই বোন কথা বললে, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
ঝিনাইদহ সদর থানায় রবি নিখোঁজের জিডি না নিলে আগামি কাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জর্জকোর্টে রবির স্ত্রী কোকিলা আক্তার রানু মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, রবিউল ইসলাম রবি নিখোঁজের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানানো যাবে।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার জেমিনি ফোর্সের এস আই আমিনুল ইসলাম বিষয়টি অস্বিকার করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ইমরান নামে জেমিনি ফোর্সের কনেস্টেবল আছে-তবে সে কাউকেই ধরেনি। তাছাড়া আমি বিষয়টি জানিনা।
আরো উল্লেখ যে, গত বুধবার বিকালে সাদা পোশাকের অস্ত্রধারীরা হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী কাউছার আলীকে তুলে আনেন।
পুলিশ প্রথমে অস্বীকার করলেও কর্মচারীদের আন্দোলনের হুমকীতে বুধবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় কাউছার তাদের হেফাজতে আছে।
“হতে চাই না বিয়ের পাত্রী, হতে চাই স্কুল ছাত্রী ”
ঝিনাইদহে আনোয়ার হোসেনের জনসচেতন মূলক বাল্যবিবাহ রোধের প্রচারণা !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
দুই ভাগনির বিয়ে হয়েছিল অল্প বয়সে। বেশি দিন টেকেনি তাদের সংসার। প্রতিদিনই খবর পাওয়া যায় কোথাও না কোথায় বাল্য বিবাহ হচ্ছে। বাল্য বিবাহ মানেই একটি মেয়ের জীবন নষ্ট করা।
হতে চাই না বিয়ের পাত্রী, হতে চাই স্কুল ছাত্রী এই শ্লোগান নিয়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও এর কুফল সম্পর্কে সারা দেশে সচেতনতামুলক প্রচার চালাচ্ছেন আনোয়ার হোসেন তালুকদার (৫০) নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি বগুড়ার বারবাকপুর গ্রামে। সাইকেলে চেপে লাল রঙের পোশাক, প্যান্ট, গেঞ্জি, টুপি, চশমা, জুতা ও লাল রঙের মাইক ব্যবহার করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রীদের মাঝে বাল্যবিহাহের কুফল নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন আনোয়ার হোসেন।
ইতিমধ্যে ৬৭ দিনে দেশের ৬৪টি জেলায় প্রচার শেষে তিনি এবার নেমেছেন দেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রচারের কাজে। বল্যবিবাহ রোধে বাই সাইকেলে দেশ ঘুরে আনোয়ার হোসেনের জনসচেতন মূলক প্রচারণা কাজ করেছেন ঝিনাইদহে আজ বৃহস্পতি বার দুপুর ১২টার সমায় সরকারি উজিরআলী স্কুল এন্ড কলেজে তিনি ছাত্রীদের মাঝে বাল্য বিবাহের কুফল নিয়ে ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরণ করেন।
এই সমাজ সচেতন মানুষ আনোয়ার হোসেন জানান, লাল রঙ বিপদ সংকেত। তাই আমার সবকিছু লাল রঙের ব্যবহার করে মানুষকে সচেতন করছি।সকলকে বোঝাতে চাচ্ছি বাল্য বিবাহ বিপদজনক।
আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, গত ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারী তিনি সিদ্ধান্ত নেন সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় গিয়ে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে ছাত্রীদের জানাবেন, বোঝাবেন। ইতিমধ্যে ৬৭দিনে ৬৪ জেলা তিনি বাইসাইকেলে চেপেই ঘুরেছেন এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ে লিফলেট বিতরন করেছেন।
এবার তিনি শুরু করেছে প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে এ প্রচারণা করবেন। ইতিমধ্যে ৯টি জেলা বগুড়ার ১১টি, নওগার ১১টি, বগুড়ার ১২টি, নাটোরের ৭টি, সিরাজগঞ্জের ৯টি, পাবনার ৬টি, মেহেরপুরের ৪টি,কুষ্টিয়ার ৬টি, চুয়াঙ্গার ৪টি ও ঝিনাইদহের ৪টি উপজেলায় প্রচারাণা সম্পুন্য করেছেন।
আনোয়ার হোসেন স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ একদিন বাল্যবিবাহ মুক্ত হবে। তার এই স্বপ্নের সাথে ঝিনাইদহবাসীও স্বপ্ন দেখছেন ঝিনাইদহ সহ গোটা দেশ একদিন বাল্য বিবাহ মুক্ত হবে।
ঝিনাইদহে ৪০৭ জন ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন সভা অনুষ্ঠিত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ৪০৭ জন ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে প্রধান করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আশাফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভিক্ষুকদের পুর্ন বাসনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী রওশন ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ড. আব্দুল মালেক গাজি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুলফিকার আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহা, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল খালেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমল কুমার কুন্ডু,সাধারণ সম্পাদক শেখ এমদাদুল হক বুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতান্জ্জুামান লিটন, সরোয়ার হোসেন, অসীম মোদক, ওবাইদুল হক, নাসির উদ্দীনসহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ভিক্ষুকদের পূনর্বাসনের জন্য ইতিমধ্যে ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর ও সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের দপ্তরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ১ দিনের বেতন ২৯ হাজার ১১০ টাকা ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের একাউন্টে জমা করা হয়েছে।
ঝিনাইদহে ফেনসিডিল সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহরের হামদহ খন্দকার পাড়া থেকে মাদকদ্রব্য, নগদ টাকাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
আটককৃতরা হলো বাজারপাড়ার বাঘাজতিন সড়কের মৃত রহমত বক্স হাওলাদারের ছেলে কাইয়ুম (৩৫) ও আরাপপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোঃ রাজু (২৫)। বুধবার গভির রাতে তাদের আটক করা হয়।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৯ বোতল ফেনসিডিল সহ নগদ ৩৬ হাজার ৭শ ৫০টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মাশলা করে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফোরামের কমিটি গঠন !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম শহিদুল ইসলামকে সভাপতি ও পান্তাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নেপা ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, এসবিকে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফান হাসান নুথান চৌধুরী, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, পান্তাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন, স্বরুপপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, কাজিরবেড় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, বাঁশবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম শহিদুল ইসলাম, নাটিমা ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আহম্মেদ, মান্দারবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম, আজমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার খান।
ঝিনাইদহে জামি সংক্রান্ত বিরোধে নারীসহ ৫ জন আহত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ শহরের কলাবাগান এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- কলাবাগান এলাকার রাশেদ শেখের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (৩২), ময়না খাতুন (৬৫), কুতুব আলীর স্ত্রী হাসিনা খাতুন (৩৫), আবু সাইদের ছেলে বিলু কাজি (২৮) ও আলামিন হোসেন (৪৫)।
স্থানীয়রা সাংবাদিককে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আলামিন হোসেনের সঙ্গে জমি নিয়ে সোনিয়া খাতুনের বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় আলামিন তার দলবল নিয়ে সোনিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৫ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান সাংবাদিককে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝিনাইদহে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় ইউএনও’র সভা বর্জন ॥ চেয়ারম্যানদের বয়কট !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
১২ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা চলার শুরুতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান চেয়ারম্যানদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজ পত্র জমা না দেওয়ার কারণ জানতে চাই।
এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান সভার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। পরে ১২ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পরিষদের মাসিক সভা বয়কট করে বেরিয়ে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান ঘটনা অস্বীকার করে জানান, আমার শারীরিক সমস্যার কারণে সভার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আমার অফিস রুমে এসে বসেছি মাত্র। পরে জানতে পারলাম চেয়ারম্যান চলে গেছেন।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, সভার শুরুতইে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের কাছে প্রকল্পের তালিকা জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাই। আমরা সাব জানিয়ে দিয়েছিলাম যথাসময়ের মধ্যে তালিকা জমা হয়েছে। এর পর পর তিনি সভার কক্ষ থেকে চলে যান।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, উপজেলা পরিষদের মাসিক সভা শুরুতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান আমাদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের রিপোর্ট জমা না দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাই। আমরা জানিয়েছিলাম যথাসময়ে আপনার দপ্তরে রিপোর্টগুলো জমা দেওয়া হয়েছে।
এক পর্যায়ে তিনি আমাদের কাউকে কিছু না বলে সভার কক্ষ থেকে বেরিয়ে চলে যান। পরে আমাদের ১২ জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ মাসিক সভা এর সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সভা বয়কট করে বেরিয়ে আসি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি এবিএম শহিদুল ইসলাম জানান, মাসিক সভা চলাকালীন সময়ে পরিষদের কোন চেয়ারম্যানকে কিছু না বলেই মাসিক সভা বর্জন করে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা বেরিয়ে আসেন। এক কথায় বলা যায় আমাদের অপমান করেই তিনি চলে এসেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমানের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ইউএনও ঐ মাসিক সভা কেন বর্জন করবে। ইউএনও ওখানকার সদস্যও নয় সভাপতিও নয় মিটিং যাতে ভাল ভাবে হয় সে জন্য। কথাটা সত্য নয়। যারা বলছে তারা না জেনে না বুঝে বলছে। হয়তো কোন কারনে আমার উপর একটু মনটন খারাপ আছে এ জন্য এরকম করতে পারে।
শৈলকুপায় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা মোক্তার হোসেনের হামলায় জড়িত সন্দেহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বহিস্কার !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈরকুপায় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নতো মোক্তার হোসনে মৃধার উপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জুয়েল পারভেজকে করা হয়ছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা মামলায় আসামী হওয়ায় তাকে বহিস্কার করা হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে তাকে বহস্কিার করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পান জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আজাদ রহমান।
৯ নভেম্বর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার জাহান বাদশা স্বাক্ষরিত প্যাডে এই বহিস্কারাদেশ দেয়।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৪ নেতাকে বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।