মোঃ সামিউল আলম, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- শস্য ভান্ডারখ্যাত দিনাজপুরের খাদ্য উদ্বৃত্ত বিরামপুর উপজেলায় আগাম জাতের আলু রোপনের ধূম পড়েছে। গত বছর ভাল ফলন ও বেশী দাম পাওয়ার পর এবার অনুকুল আবহাওয়া পেয়ে শীত শুরুর আগেই আগাম জাতের আলু রোপনে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান, এবার বিরামপুর পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে আলু রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বেশী দাম পাওয়ার আশায় এবং একই জমিতে দু’বার আলু উৎপাদনের প্রত্যাশা নিয়ে কৃষকরা আগাম আলু চাষে নেমেছে।
কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল ডায়মন্ড ও রোমানা এবং স্থানীয় জাতের ষাটাল আলু রোপন করছেন। বালুপাড়া গ্রামের কৃষক জামান বলেন, আগাম উৎপাদিত নতুন আলুর বাজার দর খুবই ভাল। নতুন আলু প্রতি কেজি ৫০/৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে।
বিরামপুরের পলিমাটি সমৃদ্ধ পৌর এলাকা এবং মুকুন্দপুর, কাটলা, পলিপ্রয়াগপুর, জোতবানী, বিনাইল, খানপুর ও দিওড় ইউনিয়নে প্রধান রবি ফসল হিসেবে আলুর আবাদ হয়ে থাকে। ঐসব এলাকার উঁচু শ্রেণির জমি ও স্বল্প মেয়াদী আগাম জাতের আমন ধান কাটার পর কৃষকেরা ঐসব জমিতে আগাম আলু রোপন করে থাকেন।
অপরদিকে আগাম জাতের ভুট্টাচাষের জন্য কৃষকেরা জমি তৈরি শুরু করেছে। ভুট্টাচাষ ত্বরান্বিত করতে কৃষি অধিদপ্তর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মাঝে প্রণোদনা কর্মসূচির সার ও বীজ বিতরণ করেছে।
উপজেলার মুকুন্দপুর, কাটলা, খানপুর, জোতবানী, পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন ও বিরামপুর পৌর এলাকার ১৮০ জন চাষীকে ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি ও ২ কেজি করে ভুট্টাবীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।