এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় চলছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাদক ব্যবসা। পরিবার ও স্বজনদের নজর এড়াতে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইমো কিংবা ভাইবারের মাধ্যমে মাদকের অর্ডার দিচ্ছে তারা। আর মাদক ব্যবসায়ীরাও নানা কায়দা কৌশলে নিরাপদে মাদক পৌছে দিচ্ছে তাদের কাছে। আর এই মাদকের বিলও পরিশোধ হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে বিকাশ, ডাচ বাংলাসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। এমনটাই জানা গেছে, পীরগঞ্জের স্থানীয়দের কাছ থেকে।
এই উপজেলার এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে হাত বাড়ালে মাদক মিলবে না। মাদকের সহজলভ্যতা ও মাদক বিক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ার ফলে এখানকার যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মাদকাসক্তরাও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ফেন্সি, ফান্টু, ৬ ইঞ্চি প্রভৃতি ছদ্মনামে অর্ডার দেওয়া হচ্ছে ফেন্সিডিলের। অন্যদিকে গুটি, আড়াই, চেলুট প্রভৃতি নামে ইয়াবা কেনাকাটা চলছে।
আইনের চোখে এগুলো অপরাধও স্বাস্থ্যের পক্ষের মরণ নেশা হিসাবে পরিচিত হলেও মাদকসেবীরা নেশার ঘোরে এগুলো দেখছে ‘অন্যরকম ফিলিংস’ হিসাবে।
অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছে এসব নিষিদ্ধ মাদক সেবন। স্কুল কলেজের বেতন কিংবা পোশাক-প্রশাধনী কেনার কথা বলে বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাদকাসক্ত বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠেথে। মাদকের নেশা অনেকটা ‘ওয়ান ওয়ে’ রাস্তার মতো, একবার জরিয়ে গেলে ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব।
উপজেলার ফকিরগঞ্জ, ফাটারহাট, চন্দরিয়া, দানাজপুর, বৈরচুনাসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকাগুলো থেকে আসছে এসব মাদক আর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাদক সরবরাহ ও বিক্রয় করে আসছে। অন্যদিকে পীরগঞ্জে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক স্পটে চলছে মাদকের রমরমা বেচাকেনা।
এক সময়ের মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, উপজেলা শহরের দুই কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার মধ্যে প্রায় ১৫টি স্পটে ইয়াবা, গাজাঁ ও ফেন্সিডিল বিক্রি হয়ে থাকে। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এই বেচাকেনা।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত মোঃ ওয়াহেদ আলী জানান, মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নাই। আমরা সোচ্চার আছি অনেক। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।