ঢাকা; আগামী ২০ জানুয়ারি কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন, তাঁর জন্য আজ মঙ্গলবার ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার জন্য আজ আনুষ্ঠানিক ভোট গ্রহণ শুরু হলেও আগাম ভোট গ্রহণ চলছে আগে থেকেই।
ভোরে নিউইয়র্কের ফুলটন স্ট্রিটের সেইন্ট মার্গারেট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রিস্টিনা ভলসি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজ করছেন তিনি। কেমন হচ্ছে নির্বাচন? বললেন, লম্বা লাইন। ক্রিস্টিনা ভলসির কথায় একমত ভোটার সারা জিয়েলস। স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টায় তাঁর সঙ্গে কথা হয়। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতর সবাই খুব সহযোগিতা করেছেন। দুই দলই চাইছে অনেক ভোটার ভোট দিক। কাকে ভোট দিয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, হিলারিকে ভোট দিয়েছি। কারণ, আমি ইতিহাসের অংশ হতে চাই। তাঁকে সিনেটর হিসেবে দেখেছি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দেখেছি, ফার্স্ট লেডি হিসেবে দেখেছি। যুক্তরাষ্ট্র নারী প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে, এই আশা করি।’
ভোটকেন্দ্রের ভেতরে দুই দলের প্রতিনিধিই আছেন। একজনকে বলতে শোনা গেল, পছন্দের প্রার্থীকে একবারই ভোট দিন। ভোটারের সংখ্যা কত, কত ভোট পড়েছে—নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার আগেই পুলিশের অনুরোধে বেরিয়ে আসতে হলো। কর্মকর্তারা আগেই সাবধান করেছিলেন সাংবাদিকদের। তাঁরা জানিয়ে রেখেছিলেন, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারণ, দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীই এবার নিউইয়র্কের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া এমন যে সারা দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের সমর্থনও বিজয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। জিততে হলে একজন প্রার্থীকে সংগ্রহ করতে হয় ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ ভোট, যার মোট সংখ্যা ৫৩৮টি। দুটি অঙ্গরাজ্য ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রার্থীরা সেই ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে বিজয়ী হন, আর তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট অর্থাৎ ২৭০টি পেলেই একজন প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন।