প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোনের সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের পর মোবাইলভিত্তিক অপরাধ অনেক কমে গেছে। তবে এখন মোবাইলে যে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে, তা ‘স্পুফিং’ কলের মাধ্যমে হচ্ছে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে একজনের ফোন নম্বর নকল করে অপরজনের নম্বরে ফোন দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে বায়োমেট্রিকের কোনো সম্পর্ক নেই।
তারানা হালিম বলেন, কেউ এ ধরনের ফোন পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই নম্বরে ফিরতি কল করবেন। এতে প্রকৃত মালিক কে, তা জানা যাবে। একই সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের কল পাওয়ার পর টাকাপয়সা না পাঠানোর জন্য গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী স্পুফিং কল বোঝাতে তাঁর নম্বরটিও কীভাবে নকল হয়ে অন্যের কাছে যেতে পারে, তা প্রদর্শন করেন। তিনি জানান, এ সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।
ফান সফটওয়্যার হিসেবে পরিচিত স্পুফিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল নম্বর নকল করে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনের পর অপরাধ কমে এসেছে। ওই সময় তিনি গত তিন মাসের তথ্য তুলে ধরে জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের আগে অবৈধ ভিওআইপির ঘটনা ঘটত ৩৫ শতাংশ। নিবন্ধনের পর তা ১০ শতাংশ নেমে এসেছে। এ ছাড়া সিম নিবন্ধনের কারণেই উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার হত্যাকারীকেও সহজে ধরা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।