আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ছাড়াও হরতাল-অবরোধের সময় নাশকতার অভিযোগে দারুস সালাম থানায় করা আরও পাঁচটি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল আজ। প্রতিটি মামলায় খালেদা জিয়া আসামি। তাঁর পক্ষে আজ আদালতে সময় চান তাঁর আইনজীবীরা। আদালত আগামী ১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মিজবাহ বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তাঁর পক্ষে আদালতের কাছে সময় চেয়েছি। ১ ডিসেম্বর তাঁকে হাজির হতে বলেছেন আদালত।’
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে এই মন্তব্যের কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। ওই মামলা আমলে নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। ওই সময় তাঁকে ৩ মার্চ আদালতে হাজির হতে বলা হয়। ঢাকার মহানগর হাকিম মো. রাশেদ তালুকদার ওই আদেশ দিয়েছিলেন।