হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে থানায় গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুতের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। কেন বিদ্যুৎ নেই তারও কোন সঠিক জবাব মিলছে না বিদ্যুৎ বিভাগের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে। জানা যায়, গোলাপগঞ্জে গত ৫ দিন ধরে ৩৩ হাজার ভল্টের লাইন মেরামতের দোহাই দিয়ে কর্তৃপক্ষ আগামী ১ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে ৫টা, ২ নভেম্বর বুধবার বেলা ১টা থেকে ৫টা, ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১টা থেকে ৫টা, ৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৪টা, ৬ নভেম্বর রবিবার বেলা ১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা, সদর ইউনিয়ন, বাঘা ইউনিয়ন, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের বারকোট এলাকার কিছু অংশ, লক্ষীপাশা ইউনিয়নের কোনাচর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী ১ লা নভেম্বর ঘোষণার সময় থেকে আরো ১ ঘন্টা দেরি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ২ নভেম্বর বিকাল ৫ টায় বিদ্যুুৎ সরবরাহের ঘোষণা থাকলেও রাত ৭ টায় ২ ঘন্টা দেরি করে বিদুৎ সরবরাহ করা হয়। ৩ নভেম্বর রাত ১০ টায় বিদুৎ সরবরাহ করা হয়।এদিকে গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার এক টানা ২২ ঘন্টা বিদুৎ ছিলনা। শনিবার একটানা ১৩ ঘন্টা বিদুৎহীন ছিল পুরো উপজেলা। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রক্ষিত মাছ ও মাংসসহ সব জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে চার্জ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে কারো সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদুত্যের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে জে,এস,সি ও জে,ডি,সি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুৎ এর কারণে ভালভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেনা তারা। বিদুৎ কর্তৃপক্ষে এ ধরণের আচরণ উপজেলার মানুষের মনে ক্ষোভেরসৃষ্টি করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা বাধ্য হয়ে রাত সাড়ে ছয় টায় বিদুত্যের দাবিতে গোলাপ গঞ্জ চৌমুহনীতে, সাতটায় ফুলবাড়ি ইউপির মালুমের দোকানের সামনে ও হেতিমগঞ্জ চৌমুহনীতে সিলেট-জকিগঞ্জ রোডের পুরো রাস্তা ২ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা। তারা রাস্তায় আগুণ জ্বালিয়ে উপজেলার স্থানীয় ডিজিএমের অবসারণে স্লোগান দিতে থাকে। এতে সিলেট- জকিগঞ্জ রোডে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। দূর্ভোগ পোহাতে হয় গাড়িতে থাকা যাত্রীদের। পরে গোলাপ গঞ্জ পৌর মেয়র সিরাজুল জব্বার, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে এম ফজলুল হকের হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়। বিদুত্যের এই বিপর্যয়ের কারণ জানতে গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম সুজিত কুমারকে মোবাইলে বার বার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।