গ্রাম বাংলা ডেস্ক: খোলা মাঠে চুমু খাওয়ার অপরাধে চাকরি গেছে তানজানিয়ার এই পুলিশ জুটির। ছবি: বিবিসি অনলাইনদুজনই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রেমিক-প্রেমিকা। শখ হলো খোলা মাঠে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার। খেলেনও তাই। তা আবার পুলিশের পোশাকেই। সে ছবি তুললেন আবার আরেক পুলিশ বন্ধু। চুম্বনরত প্রেমিক-প্রেমিকার ছবি দেওয়া হলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে। শুরু হলো তোলপাড়। ফলটা কী দাঁড়াল? চাকরি গেল দুজনের।
তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কাগেরা এলাকায় সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, চুমু খাওয়ার অপরাধে চাকরি যাওয়ার ঘটনাকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড বলে মনে করছেন অনেকে। ফেসবুকে অনেকে মন্তব্য করেন, সহকর্মীর সঙ্গে এমন সম্পর্ক বা আচরণের কারণে তাঁদের তিরস্কার করা যেত, কিন্তু চাকরি থেকে বরখাস্ত করাটা বাড়াবাড়ি। ঘুষ নেওয়ার চেয়েও চুমু খাওয়াকে বড় অপরাধ বলে মনে করছে পুলিশ বিভাগ।
তবে সমালোচনা যতই হোক না কেন, তানজানিয়ার পুলিশ বিভাগ মনে করছে তাদের সিদ্ধান্তই সঠিক। আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার হেনরি মাওয়াইবামবে বিবিসিকে জানান, পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার জন্য তাঁদের এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ওই পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকাকে সব ধরনের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু তাঁরা পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এ কারণে চাকরি হারিয়েছেন।’
পুলিশ কমান্ডার হেনরি মাওয়াইবামবের ভাষ্য, চুম্বন করার অপরাধে তাঁদের চাকরি যায়নি। পুলিশের পোশাক পরে জনসমক্ষে এমন আচরণ ও ফেসবুকে ছবি দেওয়ার জন্য তাঁদের চাকরি
গেছে। গত সপ্তাহে তানজানিয়ার স্থানীয় একটি পত্রিকায় খবরটি প্রকাশ হওয়ার পরে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বেশির ভাগই মনে করেন, এ ধরনের শাস্তি খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ফেসবুকে একজন মন্তব্য করেন, তাঁদের তিরস্কার করা যেত। কিন্তু বরখাস্ত করাটা বাড়াবাড়ি।
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আমি একবার সাবেক ও প্রয়াত মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিগ্যানকে নিজ কার্যালয়ে তাঁর স্ত্রীকে চুম্বন করতে দেখেছি। কিন্তু তখন কেউ তাঁদের দোষারোপ করেনি।’ টুইটারে আরেকজন বলেন, পুলিশ জুটির ওই চুম্বনকে ঘুষের চেয়ে বড় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়েছে।
তানজানিয়ার আইন ও মানবাধিকার সংস্থার আইনজীবী মাসুদ জর্জ বিবিসি অনলাইনকে বলেন, এই শাস্তি অনৈতিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আইনের দিক থেকে এ ক্ষেত্রে কিছু বলার নেই। কারণ পুলিশ বিভাগ মনে করে তাঁরা পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।