ঢাকা; মন্দ মানুষের হালহকিকত আর পরিণতি জানার আগে আপনার অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত মন্দ লোক কারা এবং আপনি নিজে কোন প্রকৃতির মানুষ। যদি নিজেকে চিনতে না পারেন, তবে আপনার পক্ষে নির্ভুলভাবে ভালো কিংবা মন্দ মানুষ চেনা একেবারেই অসম্ভব। এ কারণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিরা মানবজাতিকে সবার আগে নিজের প্রতি এবং নিজের কর্ম, পরিবার-পরিজন ও আশপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি নজর দিতে বলেছেন। মহামতি সক্রেটিস বলেছেন- নিজেকে চেনো। কনফুসিয়াস বলেছেন- অন্যের বাড়ির দরজায় বরফ জমেছে, সেটা পরিষ্কার করতে যাওয়ার আগে নিজের দরজার সামনে পড়ে থাকা খড়কুটোটি সরিয়ে ফেলো।
আপনি যদি সক্রেটিসকে ২০১৬ সালে কাছে পেতেন এবং জিজ্ঞাসার সুরে বলতেন- মহাত্মন! আমি তো নিজেকে জানতে চাই; কিন্তু কিরূপে জানব? নিজের কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে জানার কাজটি শুরু করব? আমি কি আমার চেহারা-সুরত, বংশমর্যাদা ও শিক্ষাদীক্ষার ভিত্তিতে নিজেকে মূল্যায়ন করব, নাকি আমার কাজকর্ম, চিন্তা-চেতনা, পোশাক-পরিচ্ছদ, আহার-বিহার, রাগ-অনুরাগ ইত্যাদির ফিরিস্তির নিরিখে মূল্যায়ন করব? অথবা আপনি হয়তো ভালো-মন্দ নিরূপণের এবং নিজেকে জানার মানদণ্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারতেন। আপনার প্রশ্ন শুনে মহামতি সক্রেটিস কী জবাব দিতেন, তা বলতে পারব না। তবে আপনি যদি প্রশ্নটি আমাকে করেন তবে আপনাকে হজরত আলী রা:-এর একটি অমিয় বাণী পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানাব।
হজরত আলী রা: বলেছেন- ‘তোমার হৃদয়টি কেমন, অর্থাৎ তুমি কেমন মানুষ, তা বোঝার জন্য তুমি যা করো তা নয়, বরং তোমার মন যা করতে চায়, সে দিকে লক্ষ করো।’ হজরত আলী রা:-এর বক্তব্যটি পর্যালোচনা করলে নিজেকে চেনার একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা সম্ভব। আমাদের সমাজে আমরা সাধারণত মানুষের কাজকর্ম দেখেই লোকটি সম্পর্কে ভালো কিংবা মন্দ সার্টিফিকেট দিয়ে দিই; কিন্তু আমরা একবারও ভাবি না, একজন ভালো মানুষ যেমন মন্দ কাজ করতে পারেন, তেমনি মন্দ প্রকৃতির মানুষও ভালো কাজ করে বেড়ান। মূলত পরিবেশের চাপ এবং নিজের লাভক্ষতি ও স্বার্থ দ্বারা তাড়িত হয়ে মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। নীতি, আদর্শ ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে অবিরাম কাজ করতে পারেন, এমন মানুষের সংখ্যা দুনিয়ায় বিরল। অনেকে ভালো কাজ করেন নেহাত লোকদেখানোর জন্য। অনেকে করেন খ্যাতি, যশ ও সম্মান লাভের জন্য। অনেকে করেন অমরত্ব লাভ এবং পুণ্য অর্জনের জন্য। কেউ বা করে থাকেন ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র প্রবাদের ফাঁদে পড়ে।
মানুষের মন্দ কাজেরও নানা ফিরিস্তি রয়েছে। মন্দ উদ্দেশ্য সাধন, অন্যের অনিষ্ট করা এবং বিধাতার নাফরমানির মাধ্যমে নিজের মন্দত্ব জাহির করার জন্য মন্দ কাজ করে বেড়ান, এমন লোকের সংখ্যা খুব কম। বেশির ভাগ লোক মন্দ কাজ করেন নিজের স্বার্থ খুব সহজে হাসিল করার জন্য। কেউ করেন লাভের জন্য- অনেকে করেন লোভের দরুন। অন্যকে ভয় দেখানো অথবা নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্যও অনেকে মন্দ কাজ করে থাকেন। পরিস্থিতির ফাঁদে পড়ে অথবা অজ্ঞতাবশত কিংবা নেহাত সঙ্গদোষে মন্দ কর্মকারীর সংখ্যাও একেবারে কম নয়। কাজেই মন্দ কাজের জন্য একতরফাভাবে কাউকে মন্দ লোক বিবেচনা করা অনেক ক্ষেত্রে ভুল বলে বিবেচিত হয়।
এবার কাজ বাদ দিয়ে মন নিয়ে কিছু বলা যাক। মানুষের মন একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ এবং দুনিয়ার সবচেয়ে জটিল একটি বিষয়। খুব বেশি মেধাবী, জ্ঞানী এবং আল্লাহর বিশেষ হেদায়েতপ্রাপ্ত বান্দা না হলে মনের যন্ত্রণা থেকে কেউ রক্ষা পায় না। মনকে বশে রাখতে না পারলে মানুষের জীবনে যে সর্বনাশ ঘটে থাকে, এর সাথে অন্য কিছুর তুলনা চলে না। মানুষের মন, আত্মা ও নফস নিয়ে সেই আদিকাল থেকে গবেষণা চলে আসছে। কেউ কেউ বলছেন, মন, আত্মা এবং নফস মূলত একই জিনিস। অনেকে বলছেন- ওগুলো আলাদা আলাদা বিষয় এবং প্রতিটিরই রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনকেরা সারা জীবন তন্ন তন্ন করে মানবদেহের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সর্বত্র মন খুঁজে বেড়িয়ে শেষ অবধি কোনো কূলকিনারা করতে পারেননি। কবি-সাহিত্যিক ও মরমি সাধকেরা বলেছেন- মন হলো বুকের ভেতরে ঠিক যেন কলিজাটার মধ্যিখানে!
মনের অবস্থান সম্পর্কে আমরা কেউ কিছু বলতে না পারলেও মনোবিজ্ঞানীরা কিন্তু পুরো মানবশরীরের প্রতিটি ইঞ্চি স্থানকে মন বলে আখ্যা দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, মানুষের মনের ব্যাপ্তি কেবল দেহের মধ্যে সীমিত নয়। তার দৃষ্টি, তার ঘ্রাণশক্তি, তার অনুভূতি এবং তার চিন্তার সর্বশেষ সীমানা পর্যন্ত মনের বিস্তার। মনের কোনো কাল নেই। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ- এই তিন কালেই মন সমানভাবে কর্মক্ষম। পৃথিবীতে মানুষের মস্তিষ্কজাত কর্মের তুলনায় মনের মাধুরীমিশ্রিত কর্ম বেশি অমরত্ব পেয়েছে। কবির কবিতা, শিল্পীর শিল্পকর্ম, চিন্তাশীল ব্যক্তিদের কল্পনা এবং সাধকের মনের দুর্বার গতির কারণে চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, আকাশ-পাতাল, পাহাড়-সমুদ্র জয় করা মানুষের জন্য সহজ হয়েছে। প্রেমের ক্ষেত্রেও মনের জয়জয়কারের কাছে কর্ম বারবার মার খায়। প্রেমিকার জন্য প্রাসাদ নির্মাণের তুলনায় তাকে চাঁদের আলো, রঙধনুর রঙ, সমুদ্রের ঢেউ ইত্যাদির স্বপ্নসংবলিত একটি কবিতা রচনা করে দিলে কিংবা সুন্দরতম কথামালার সমন্বয়ে একটি সুমধুর গানের সুর উপহার দিলে কী পরিমাণ সুফল পাওয়া যায়, তা কেবল প্রেমাস্পদই বলতে পারবেন।
ভালো মন অথবা মন্দ মনের ওপরই ব্যক্তির ভালো-মন্দ নির্ভর করে। মন কিভাবে ভালো হয় কিংবা কিভাবে মন্দ হয়? তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে আমরা আজকের প্রসঙ্গে সরাসরি ঢুকে পড়তে চাই। মন্দ মনের অধিকারী মানুষজন যত ভালো কাজই করুক না কেন, শেষ অবধি সেসব কাজের পরিণতি ভালো হয় না। নানা দুর্ভোগ-দুর্দশা, বিয়োগান্ত ঘটনা এবং প্রকৃতির অভিশাপে মন্দ ব্যক্তির দেহ-মন এবং মস্তিষ্ক এক অদ্ভুত উপায়ে পরিচালিত হতে থাকে। আপনি যদি একটু সতর্ক দৃষ্টি নিয়ে আশপাশে তাকান, তবে লোকজনের হালহকিকত দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন লোকগুলোর আসল চরিত্র।
মন্দলোকের দু’টি অদ্ভুত স্বভাব দেখে আপনি ইচ্ছে করলে তাদের সংসর্গ থেকে দূরে থাকতে পারেন। তারা কথায় কথায় মিথ্যাচার করে এবং আপনি তা ধরিয়ে দেয়ার পর তারা একটুও লজ্জিত না হয়ে বরং তাদের মিথ্যাগুলোকেই সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মানসে নির্বিচারে হাজারো মিথ্যা বলা শুরু করে দেয়। আপনি যদি এর পরও বিশ্বাস না করেন অথবা মিথ্যার বেসাতির সাথে তাল না মেলান, তবে তারা প্রচণ্ড দাম্ভিকতা নিয়ে আপনার ওপর শক্তি প্রয়োগেও দ্বিধা করে না। মিথ্যাবাদীদের বেশ কয়েকটি স্তর এবং অন্যরূপ শ্রেণী রয়েছে। আপনার জন্য সেসব মন্দ লোক সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, যারা শাসনক্ষমতায় থেকে মিথ্যা বলে এবং যারা আপনার বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থার সাথে বেঈমানি করে; আপনার সাথে মিথ্যাচার করে। আপনি এ দুই শ্রেণীর লোকজন থেকে যতটা দূরত্বে থাকতে পারবেন, ততই তা নিজের জন্য মঙ্গল বলে বিবেচিত হবে।
মন্দ লোকের পরবর্তী দু’টি অদ্ভুত স্বভাবের নাম হলো কৃপণতা ও অপব্যয়। কৃপণ ব্যক্তিকে দুনিয়ার কেউ কোনো দিন ভালো মানুষ হিসেবে আখ্যা দেয়নি। অন্য দিকে, অপব্যয়কারীকে বলা হয়েছে ‘শয়তানের ভাই’। কৃপণতা ও অপব্যয় উভয় স্বভাবের মানুষই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসে। রাজা-বাদশাহদের কৃপণতা অথবা অপব্যয়ের কারণে কত রাজ্য, শহর-বন্দর ও সভ্যতা যে ধ্বংসের করালগ্রাসে পড়েছে, তার সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারবে না। কৃপণ ব্যক্তির সংস্পর্শ আপনাকে যেমন শেষ করে দিতে পারে, তদ্রুপ অপব্যয়ীর পাল্লায় পড়ে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরের আজাব ভোগ থেকে আপনি যে বঞ্চিত হবেন না, তা নিশ্চিত করে বলা যায়।
অতিরিক্ত ও অহেতুক উল্লাস বা বিষণ্নতা মন্দ লোকের আরো একজোড়া বৈশিষ্ট্য। তারা সামান্য সুযোগ পেলে আনন্দ-উল্লাস ও উৎসবের বন্যা বইয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আশপাশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষুধা-দারিদ্র্য অথবা অভাব-অভিযোগ তাদের ব্যথিত করে না; বরং মানুষের কষ্টকে অনেকটা আগুনে ঘৃতাহুতি বা ঘি ঢেলে দেয়ার মতো ঘটনা বিবেচনা করে মন্দ লোকেরা তাদের বীভৎস উল্লাসকে নারকীয় উৎসবে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। মানুষের মাথার খুলির ওপর সিংহাসন পেতে উল্লাস প্রকাশ করেছে অথবা মনুষ্যরক্তে বড় বড় নদীর পানি রাঙিয়ে দিয়ে সেই পানিতে বজরা ভাসিয়ে বাইজির নৃত্যগীত শুনেছে, এমন মন্দ লোকের অভাব ইতিহাসে নেই। মন্দ লোকের বিষণ্নতাও তাদের উল্লাসের মতো সমাজ-সংসারকে কম ভোগায়নি। সারা দিন-সারাক্ষণ মুখ ভার করে থাকা বিষণ্ন মনের মন্দ মানুষেরা দুনিয়ার যে সর্বনাশ করতে পেরেছে, তা অন্য কেউ পারেনি। রোমান সম্রাট নিরো, আধুনিক যুগের হিটলার ও স্টালিন এই শ্রেণীর মানুষের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
অত্যাচার ও অবিচার হলো মন্দ লোকের অন্যতম প্রধান হালহকিকত। অত্যাচার ছাড়া মন্দত্বের পূর্ণতা অর্জিত হয় না। অন্য দিকে, অবিচার ছাড়া মন্দকর্ম বিকশিত হয় না। অত্যাচার ও অবিচারের কারণে সমাজ-সংসার ও রাষ্ট্রে যে হাহাকার সৃষ্টি হয়- তা এক দিকে যেমন মন্দ লোকের প্রধান বিনোদনের বিষয়বস্তু; অন্য দিকে, দুনিয়াতে খোদায়ি গজবের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। অত্যাচার ও অবিচারকে বর্ণাঢ্য করার জন্য মন্দ লোকেরা বাহারি অনাচার ও নির্লজ্জ ব্যভিচার শুরু করে দেয়। তাদের আপন কর্মের কারণে সমাজ থেকে নির্মল আনন্দ, বিনোদন ও সুখশান্তি তিরোহিত হয়ে যায়। একধরনের অনাহূত আতঙ্ক, অবিশ্বাস ও অশ্রদ্ধার মনোভাব প্রত্যেক মানুষকে পেয়ে বসে। সাম্রাজ্যের অগ্রযাত্রা স্থগিত হয়ে যায়। সবাই মিলে অধীর হয়ে মহাসর্বনাশের শঙ্কায় দিন পার করতে থাকে।
ভণ্ডামি ও মুনাফেকির মাধ্যমে মন্দ লোকেরা সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে একধরনের নারকীয় উল্লাসে মেতে ওঠে। তারা প্রায়ই সাধু বেশে এসে রাক্ষসী মূর্তি ধারণ করে। তাদের মুনাফেকির দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে সাধারণ মানুষেরা নিজেদের শ্রেষ্ঠতম আমানত ও আপন জীবন তাদের কাছে সমর্পণ করে। তারা সেগুলো নিয়ে যত দিন ইচ্ছা তত দিন ক্রীড়া-কৌতুক করে। তারপর এক সময় প্রচণ্ড নিষ্ঠুরতা ও অসামাজিকতার দ্বারা নিজেদের মুনাফেকির স্বাদ আমানতকারী অথবা জীবন সমর্পণকারীকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেয়।
মন্দ মানুষের আরো একজোড়া হালহকিকতের ফিরিস্তি দিয়ে উপসংহারে চলে যাবো। অকৃতজ্ঞতা ও অবাধ্যতা দ্বারা মন্দ মানুষেরা অন্য মানুষের মন-মানসিকতা ও জীবন-জীবিকা তছনছ করে দেয়। তারা যে শুধু মানুষের সাথে অকৃতজ্ঞতা বা অবাধ্যতা প্রদর্শন করে তা নয়। তারা তামাম মাখলুকাতের সাথে একই আচরণ করার পর আসমানের মালিকের সাথেও অবাধ্যতা বা নাফরমানি শুরু করে। তাদের কুকর্মের কারণে পরিবার ও সমাজের বন্ধন নষ্ট হয়ে যায়। তাদের কারণে শুরু হয়ে যায় নিত্যনতুন ফিতনা-ফসাদ ও দ্বন্দ্ব-বিবাদ।
মন্দ মানুষের পরিণতি নিয়ে মানবজাতির ইতিহাসে লাখো কোটি উপাখ্যান রচিত হয়েছে। কিছু পরিণতিকে কিংবদন্তির উদাহরণ বানিয়ে মানবজাতি যেমন হাজার হাজার বছর ধরে সংরক্ষণ করে আসছে, তেমনি স্বয়ং আল্লাহ কিছু মন্দ মানুষকে তার বান্দাদের শিক্ষার জন্য পৃথিবীতে উদাহরণ হিসেবে সংরক্ষণ করেছেন। মন্দ মানুষের মন্দ পরিণতির লাখো কোটি করুণ কাহিনী সেই অনাদিকাল থেকে আজ অবধি চলে এসেছে। এসব কাহিনীর মূলকথা হলো- মন্দ লোকের জীবনে কোনো দিন ভালো কিছু হয়নি এবং কিয়ামত পর্যন্ত হবেও না। মন্দ লোকেরা দৃশ্যত যতই উল্লম্ফন করুক না কেন অথবা যতই উল্লাস নৃত্য করুক না কেন, বাস্তব জীবনে তাদের অন্তরে জ্বলতে থাকে জাহান্নামের আগুন।