গ্রাম বাংলা ডেস্ক: কেমন আছেন? ভালো আছি…!’ নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ে উপস্থিত জনতার সামনে শচীন টেন্ডুলকার নিজের বক্তৃতা শুরু করলেন বাংলায় এই শব্দগুলো উচ্চারণ করেই। চোখের সামনে মঞ্চে দাঁড়ানো ক্রিকেট কিংবদন্তির মুখে আপন ভাষার শব্দগুলো শুনে উল্লাসে ফেটে পড়ল সবাই। তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যেই কমলা রঙের টি-শার্ট আর জিনসের সঙ্গে চোখে রোদ-চশমা পরা টেন্ডুলকার জানালেন, এই বাংলাদেশ তাঁর অজস্র সুখস্মৃতিরই চারণভূমি।
বাংলাদেশ তো তাঁর সুখস্মৃতির চারণভূমিই। এ দেশের মাটিতেই এসেছে তাঁর বহু আরাধ্য শততম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও (২৪৮) যে বাংলাদেশের মাটিতেই। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ওই সেঞ্চুরির মাধ্যমেই তিনি ব্রাকেটবন্দী হয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কারের ৩৪ টেস্ট সেঞ্চুরির অনন্য গৌরবে। সব মিলিয়ে পাঁচটি টেস্ট শতক ও দুটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি যে দেশের মাটিতে তিনি করেছেন, সেই মাটি তো সুখস্মৃতির চারণভূমি হতে বাধ্য।
গত বছরের নভেম্বরে খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এলেন তিনি। উদ্দেশ্য, প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নতুন নামকরণ হওয়া ক্লাব লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের লোগো উন্মোচন। ক্লাবটির মালিক লুৎফর রহমানের ব্যক্তিগত আমন্ত্রণেই আজ সকালে এক দিনের সফরে তাঁর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখা।
সকালে বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছেই হেলিকপ্টারে করে তিনি সোজা চলে যান রূপগঞ্জে। সেখানকার নোয়াপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ইউনিসেফের বিশেষ দূত হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমেও অংশ নেন। টেন্ডুলকার এতে ছাত্রছাত্রীদের হাত ধোয়ার পদ্ধতির মহড়া দিয়ে দেখান।
বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন টেন্ডুলকার। রাতেই তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা নিজ শহর মুম্বাইয়ে।