যশোরে বিএনপি কর্মী নিহত

Slider খুলনা ফুলজান বিবির বাংলা

813c527fe2fb0474aefa37d1b98f8971-jessor

যশোর; যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় আনিসুর রহমান (৩৮) নামে বিএনপির এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, ‘গোলাগুলি’তে আনিসুর নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবার ও বিএনপির নেতাদের দাবি, পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে তাঁকে ‘হত্যা’ করেছে।
নিহত আনিসুর মনিরামপুর উপজেলার উত্তর লাউড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ প্র কাছে দাবি করেন, ‘মঙ্গলবার মধ্যরাতে খবর আসে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেগারিতলা এলাকায় সন্ত্রাসী মিজান-মাহফুজ ও আনিসুর পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। পুলিশের টহল দল সেখানে গিয়ে দেখে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি গুরুতর অবস্থায় পড়ে আছে। উদ্ধার করে তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।’

আনিসুর রহমানকে বিএনপির কর্মী দাবি করে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন  বলেন, ‘গত ৩০ অক্টোবর ভোরে আনিসুর ও শফিকে পুলিশ উত্তর লাউড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে। দুই দিনেও তাঁদের আদালতে নেওয়া হয়নি। ওই দুজনের খবর নেওয়ার জন্য আজ বুধবার সকালে এক কর্মীকে থানার হাজতে পাঠাই। হাজতে গিয়ে শফিকে পাওয়া গেলেও আনিসুরকে পাওয়া যায়নি। তখন বিএনপির এক কর্মীকে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেখা যায় লাশ পড়ে আছে।’

নিহত আনিসুরের ভাই আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, পুলিশ আনিসুরকে গ্রামের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে থানায় আটকে রেখে পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি (আনিসুর) মনিরামপুর বাজারে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। ওই দিন সকালে থানায় আনিসকে দেখতে গেলে পুলিশ জানায়, তাঁকে যশোর ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আজিজুর রহমানের অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ওই সব অভিযোগ সত্য নয়। আনিসুরকে পুলিশ আটক করেনি।

পুলিশ জানায়, নিহত আনিসুরের বিরুদ্ধে কৃষক লীগ নেতা শফি কামাল ও যুবলীগ কর্মী শাহিন হত্যাসহ ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *