প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত, বৃহত্তর বরিশাল থেকে : বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের অধীন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জে এসসি) পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের বয়স প্রবেশ পত্রে মুদ্রিত জন্ম সালের হিসেবে ১১২ বছর পূর্ন হয়েছে বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে অভিযোগ উঠেছে।যে সকল শিক্ষার্থীর জন্মসাল স্কুল থেকে ২০০৪ লিখে দেওয়া হলেও সেখানে প্রবেশ পত্রে ১৯০৪ মুদ্রিত হওয়ায় ঐ সকল শিক্ষার্থীদের বয়স দাঁড়িয়েছে ১১২ বছর। বরিশাল বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৭ হাজার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র বিদ্যালয় মারফত বিলি করার পর শিক্ষার্থীদের চোখে ভুলটি ধরা পড়ে। বোর্ডের পরীক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, কম্পিউটারে কাজ করার সময় শতাব্দী পরিবর্তন না করায় শুধুমাত্র ২০০৪ সালের স্থলে ১৯০৪ মুদ্রিত হওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে এটা বড় ধরনের কোন সমস্যা নয় জানিয়ে জরুরী বার্তা পাঠানো হয়েছে। ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: লুৎফর রহমান জানান শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে অনেকটাই বিচলিত। শিক্ষাবোর্ডের ত্রুটির কারনে এমনটি হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমে যদিও জানান হয়েছে অনতিবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।জগদীশ সারস্বত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে যদিও এটি শিক্ষাবোর্ডেরই ত্রুটি। তিনি বলেন, বিষয়টি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে তারা ঐ প্রবেশ পত্রে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ঐ শিক্ষক অভিযোগ করেন এবার অনেক শিক্ষার্থীর নিবন্ধনে নাম ও নম্বরে ভুলও হয়েছে যা টাকা দিয়েও সংশোধন সম্ভব হয়নি। তখন ভুলগুলো সংশোধন করলে বয়সের ভুলও ধরা পড়ত অথচ শেষ পর্যন্ত ভুল সহ নিবন্ধন সরবরাহ করা হয়েছে। বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু জিয়াউল হক জানান কম্পিউটারে শতাব্দী পরিবর্তন না করায় এ সমস্যা হয়েছে যা নিয়ে বিভ্রান্তির কিছুই নেই। যেহেতু প্রবেশপত্র পাঠানো হয়ে গেছে তাই এটি সংশোধন সম্ভব হচ্ছেনা। কম্পিউটারের ত্রুটি সংশোধন করত: পরীক্ষাকেন্দ্র ও বিদ্যালয় প্রধানদের চিঠি দিয়ে বিষয়টির সমাধান সম্পর্কে আশ্বস্ত করা হয়েছে।