গাইবান্ধার খবর

Slider রংপুর

6-1
শনিবার গাইবান্ধায় সকাল ১১ টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমা
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ আগামীকাল সকাল ১১ টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিনদিন ব্যাপী গাইবান্ধা জেলার ইজতেমা।
গাইবান্ধার তুলসীঘাট কাশীনাথ উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠের মূল প্যান্ডেল থেকে মোনাজত পরিচালানা করবেন তাবলীগ জামাতের মুরুব্বী মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন সাহেব।

সাঘাটায় দুরবৃত্তদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ দুটি পরিবার
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার টেপা পদুমশহর গ্রামের মিলন, আবু মিয়া, আলতাব, ছদরুল, সৈয়দ মিয়া, সেতু, সবুজ মিয়ার নামে একদল দুরবৃত্তদের অত্যাচারে জহুরুল ও নাজমুল ইসলামের পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
জহুরুল ইসলামের পরিবারকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা জুহুরুল ও তার ভাই নঈমের বসতবাড়িতে শুক্রবার উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা লাঠি ও ধারলো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আম, মেহগনি, ইউকলিপ্টাস ২৫টি গাছ কর্তন করেছে তারা।
এদিকে প্রতি রাতেই সন্ত্রাসীরা তাদের বসতবাড়ীতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আতংক সৃষ্টি করে চলেছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের টেপা পদুমশহর গ্রামের জহুরুল ইসলামের সাথে আলতাব ও রব্বানীর রাস্তার জমি ক্রয়কে কেন্দ্র করে শত্রুতা চলে আসছে।
আলতাবের ভাড়াটে সন্ত্রাসী মিলন, আবু মিয়া, ছদরুল, সৈয়দ মিয়া, সেতু, সবুজ মিয়া জহুরুল ইসলামের বাড়ির চলাচলের রাস্তা টিনের বেড়া দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। বেড়া সড়িয়ে নিতে উক্ত সন্ত্রাসীরা জহুরুলের কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঘটনার দিন উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে জহুরুলে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও গাছপালা কেটে ফেলে। এসব ব্যপারে গত ২১/১০/২০১৬ইং তারিখে সাঘাটা থানায় মামলা করা হয়।
সুন্দরগঞ্জে মাদকে ভাসছে যুব সমাজ
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাদকের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। ধ্বংসের মুখে যুব সমাজ।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও অলিতে-গলিতে মাদকের বিস্তার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদক সেবনে ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে যুব সমাজ। তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। অশান্তিতে ভোগছে পিতা-মাতাসহ অনেকেই। ছোট-খাটো অপরাধসহ বৃদ্ধি পাচ্ছে পারিবারিক কলহ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সের যুবকেরা মাদকে ভাসছে। দিন-দিন যেমনি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক সেবি তেমনি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যাও।
উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরি গ্রামের মাদক সম্রাট নামের পরিচিত ছালাম ঠসা মাদক ব্যবসা করার অরাধে কমপক্ষে দশ বার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। তবুও থেমে নেই তার মাদকের ব্যবসা। এছাড়া হরিপুর খেয়া ঘাটে, ধর্মপুর, মাঠের হাট, সোনার হাট, পৌর শহরেরসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্যান্সিডিল গাজাঁ, মদ, ইয়াবা ও হিরোইন নামক অনেক ব্যবসা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
সুন্দরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শত করা ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি মাদক সেবন করে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে হুমকি দিয়েছে বেশ কিছু সংখ্যক বখাটে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষ ভাংচুরসহ ফলের বাগানের গাছপালা কেটে ফেলে দিয়েছে।
এনিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে। করে অনেক মাদক সেবীর পিতা-মাতা সন্তানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। সম্পত্তি পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার শাহনুর আলম মন্ডল তার মাদক সেবী পুত্রের কর্মকান্ড সহ্য করতে না পেরে নোটারী ক্লাবে এফিডেভিট করে তার পুত্রের সাথে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন না করার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন। উপজেলার সচেতন মহল এব্যাপারের প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
দুর্বল মনিটরিং ব্যাবস্থা
পলাশবাড়ীতে শুরু থেকেই খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর লাগামহীন অনিয়ম
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের সমন্বয় হীনতার ও মনিটরিং ব্যাবস্থা জোরদার না থাকায় প্রকল্পে লাগামহীন ভাবে দুর্নিতি ও অনিয়ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই কর্মসুচীর আওতায় একজন দুস্থ অসহায় ব্যাক্তি ১০ কেজি চাল দৈনিক ১ কেজি হারে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ৩০০ টাকায় ক্রয় করতে পারবে।
এ উপজেলার মোট বরাদ্দের মধ্যে ৯ টি ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা অনুপাতে প্রতিটি ইউনিয়নে বরাদ্দ বিভাজন করা হয়।
বরাদ্দ অনুযায়ী দুস্থ অসহায় গরীব ব্যাক্তিদের তালিকা প্রনয়নে দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের একজন সরকারী কর্মকর্তা যে হবে খাদ্যবান্ধব ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি, পদাধিকার বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব হবে কমিটির সদস্য সচিব, সংশ্লিষ্ট ইউ পি চেয়ারম্যান ইউ,পি সদস্যরা ছাড়াও ২ জন গন্যমান্য ব্যাক্তিরা এই কমিটির সদস্য এদের সমন্বয়ে সরকারি নীতিমালা যথাযথ গুরুত্ব বিবেচনা পুর্বক তালিকা প্রনয়ন করে উপজেলা কমিটিতে প্রদান করার কথা।
উপজেলা কমিটি সরকারী নীতিমালা উপর গুরুত্ব দিয়ে তালিকা অনুমোদন পুর্বক সরকার নিয়োগকৃত ডিলারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ডিলারের জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রাপ্ত খাদ্যশস্যের বিতরনের নিমিত্তে ডিও প্রদান করা করা সহ সুস্থ ভাবে বিতরন কার্যক্রম পরিচালনায় সকল প্রকার সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।
তালিকা প্রনয়নে অনিয়ম,ডিলারের বিরুদ্ধে ওজনে কারচুপি সহ নানা অভিযোগ ওঠলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি নির্দেশনার আলোকে তালিকা সংশোধনের জন্য ইউনিয়ন কমিটিকে নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ জানান।
পাশাপাশি তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন যিনি করছেন তিনি ও একজন সরকারি কর্মকর্তা, যে ডিলার নিয়োগ পেয়েছে তারাও সরকারী দলের আবার যারা মনিটরিং করছে তারাও সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাদের সমন্বয়ে হচ্ছে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার উপস্থিত ছাড়াই ডিলাররা কিভাবে খাদ্যশস্য উত্তোলন ও বিতরন শুরু করেন? কি ভাবে ডিজিটাল মিটারে ডিজিটাল ভাবে কারচুপি হয়? আর এসব চাল কি ভাবে কালো বাজারে চলে যায়? নিশ্চিত বিতরন স্পট গুলোতে তদারকি কর্মকর্তা সঠিক সময় উপস্থিত হয় না যখন তিনি উপস্থিত হয় ততক্ষণে ৫০ ভাগ বিতরন সম্পন্ন হয়।
শুধু তাই নয় একজন ডিলারের হাতে ৫০ থেকে ১০০ টি কার্ড রয়েছে যারা বিভিন্ন লোক দিয়ে এসব চাল কালোবাজারে বিক্রি করেন।এখানে রক্ষক ভক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ন বলে সচেতন মহল মন্তব্য করেন।
তবে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা সমন্বয় ও সুষ্ঠু মনিটরিং ব্যাবস্থার মাধ্যমে কেবল এত সব অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব বলে অনেকে মতামত ব্যাক্ত করেন।
সম্পতি হোসেনপুর ইউপির ডিলার ১৪ বস্তা চাল কালোবাজারে পাচার করার সময় এলাকাবাসী হাতে নাতে আটক করে।পরে অবস্থার বেগতিক দেখে লাখ টাকায় রফাদফা হয়।এ ঘটনায় জরিতদের শাস্তির দাবি করে এলাকাবাসী মানববন্ধন করলে ও প্রশাসনের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

সাঘাটার কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের নামে অর্থ আদায়
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ সাঘাটার কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে নিয়োগে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোটা অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানাগেছে, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে নিয়োগের নামে প্রধান শিক্ষক লাভলু মিয়া ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু তাহের দেড় বছর পূর্বে দুই প্রার্থী আসাদুজ্জামান এর কাছে থেকে চার লক্ষ, শিপন মিয়ার আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে চাকুরী না দিয়ে তালবাহানা করছেন।
প্রধান শিক্ষকের আত্মীয় অপর প্রার্থী আনিছুর রহমানের কাছ থেকে পনের লক্ষ টাকা চুক্তিতে চাকুরী নিশ্চিত করে, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি সাত লক্ষ টাকা গ্রহন করেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।
শুক্রবার এ বিষয়ে এলাকায় একটি শালিশী বৈঠক বসে। প্রধান শিক্ষক লাভলু মিয়া জানান, টাকা আমি নেইনি, সভাপতি নিয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান মৃত হবিবর রহমানের ছেলে প্রার্থী আসাদুজ্জামান জানান, দীর্ঘ দের বছর পূর্বে সভাপতি আবু তাহের আমাকে অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেওয়ার নাম করে চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন। ওই পদে আমার যোগ্যতা থাকলেও চাকুরী দিচ্ছে না তারা।

সাঘাটায় বালু উত্তোলণের ড্রেজার মেশিন জব্দ
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মেছট গ্রামে আজ শুক্রবার বিকালে রাস্তার পার্শ্বে বালু উত্তোলণের সময় ড্রেজার মেশিন জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল কুমার ঘোষ।
দীর্ঘদিন ধরেওই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র আব্দুল বারী ও আব্দুল বাকী রাস্তা পাশ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলণ করে আসছিল।
শুক্রবার ওই রাস্তা দিয়ে বিশেষ কাজের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যাচ্ছিলেন। এমন সময় ড্রেজার মেশিন দেখে বালু উত্তোলণের জন্য নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে আব্দুল বাকী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ইউএনও সাঘাটা থানার পুলিশকে সংবাদ দিলে ড্রেজার মেশিন জব্দ করে থানায় নিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল কুমার ঘোষ জানান, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
সাঘাটায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর উদ্বোধন
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ সাঘাটায় ঘুড়িদহ ও জুমারবাড়ী ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ২টি ইউনিয়নের ৪টি পয়েন্টে ১০ টাকা দরে এ চাল বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।
ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ডাকবাংলা বাজারে এ চাল বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পীকারের প্রতিনিধি সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা, তদারকি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, ডিলার জাহাঙ্গীর আলম।
অপরদিকে জুমারবাড়ী ইউনিয়নের জুমারবাড়ী বাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পীকারের প্রতিনিধি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান মাফু, ইউপি সদস্য সৈয়দজ্জামান, তদারকি অফিসার মিথুন বর্মন, ডিলার আব্দুল মজিদ প্রমুখ।
গোবিন্দগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জখম ১
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউপির স্থগিত দুটি কেন্দ্রে আগামী ৩১ অক্টোবর পূনরায় ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সর্মথক শাহ আলম নামের এক যুবককে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টায় শালমারা ইউপির স্থগিতকৃত জীবন নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেন শামিম (আনারস) প্রার্থীর সর্মথক উলিপুর (পাছপাড়া) গ্রামের আঃ ছালামের পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শাহ আলম (৩০) ও ছামুছউদ্দিনের পুত্র শাহআলম (৩২) মহিমাগঞ্জ বন্দর থেকে মটোরসাইকেল যোগে বাড়ী যাওয়ার পথে উলিপুর মধ্যপাড়া তিন মাথা নামক স্থানে আগে থেকেই প্রতিপক্ষ(নৌকা প্রতীক)প্রার্থীর সর্মথক ৮/১০ জনের একদল যুবক তাদের পথরোধ করে মোটরসাইকেল ভাংচুরসহ ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে।
তাদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শাহ আলমকে উদ্ধার করে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ এ ভর্তি করে।
এদিকে প্রতিপক্ষের হামলার প্রতিবাদে বিকাল ৩ টায় গ্রামবাসি শতশত নারী/পুরুষ এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
সাঘাটার নদী ভাঙন প্রতিরোধে মানববন্ধন
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ সাঘাটায় হলদিয়া ও চিনিরপটল গ্রাম যমুনা নদীর ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে শুক্রবার এলাকাবাসীর উদ্দ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ চিনিরপটল, হলদিয়া, গোবিন্দপুর, বেড়া গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ হলদিয়ার ভাঙন এলাকায় দাড়িয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এতে বক্তব্য রাখেন কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল খালেক, সহকারী শিক্ষক আব্দুস ছালাম, স্থানীয় সমাজ সেবক আতাউর রহমান, নওয়াব আলী আকন্দ, আব্দুল মাজেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য উপজেলার চিনিরপটলের দক্ষিণ অংশ থেকে শুরু করে হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কি.মি. এলাকা জুড়ে যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। অব্যাহত ভাঙনে নতুন করে গত ১ মাসে আরও ৫০টি ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঝুকিতে রয়েছে কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ তলা ভবণ, হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবণ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ৩টি জামে মসজিদ, বেড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদগাঁহ মাঠসহ বিস্তৃর্ণ এলাকার ঘরবাড়ী। ফলে নদীর তীরে বসবাসকারী পরিবারগুলোর মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙন প্রতিরোধে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোড এ পর্যন্ত কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
জানা যায়, ১শত ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাথালিয়ার উত্তর সীমানা থেকে চিনিরপটল পর্যন্ত প্রায় ৫ কি.মি. এলাকা যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ গত বছর শেষ করা হয়েছে। ওই কাজের সাথালিয়া ও হাসিলকান্দি এলাকায় ওই কাজের তৈরি করা অসংখ্য ব্লক নদীর তীরে ড্যাম্পিং না করে বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে পরিত্যক্ত ব্লকগুলো ভাঙন এলাকায় ড্যাম্পিং করা হলে হলদিয়া ও চিনিরপটল এলাকা নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে এলাকাবাসীর মন্তব্য।
যমুনা নদী পানি হ্রাস পেতে শুরু করায় উপজেলার অন্যান্য পয়েন্টে ভাঙন তেমন না থাকলেও হলদিয়া এলাকায় তীব্রস্রোতে ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ফলে ভাঙন এলাকায় অবস্থিত কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ তলা ভবণের পূর্বাংশের ২টি পিলারের নিচ থেকে মাটি ধ্বসে যাওয়ায় ৩ তলা এই ভবনটি হুমকীতে রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে এ ভবণটি ভেঙে পরতে পারে। ভাঙন এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে অন্যস্থানে ড্যাম্পিং জি.ও ব্যাগগুলো তুলে এনে ভাঙন এলাকায় ফেলে প্রতিরোধের চেস্টা করছে। ভাঙন প্রতিরোধে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তেমন তৎপরতা না থাকায় ভবণ রক্ষার্থে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গত রবিবার ভাঙন প্রতিরোধের আবেদন জানিয়েছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থ বছরে ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার হলদিয়া, গোবিন্দপুর ও গোবিন্দী এবং পাশ্ববর্তী ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী ও গণকবরসহ ৫টি পয়েন্টে ভাঙন প্রতিরোধে বালু ভর্তি জি.ও ব্যাগ ড্যাম্পিং করে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই সব এলাকায় আশানুরুপ কাজ না করেই কাগজে কলমে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত দেখানো হয়েছে। কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল খালেক জানান এখানে জি.ও ব্যাগ আশানুরূপ ড্যাম্পিং না হওয়ার কারণে ভাঙন থামেনি। এই প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান স্থাপনাটি বিলীন হয়ে গেলে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঠিকানাহীন হয়ে পড়বে।

গাইবান্ধায় স্পট মিটারিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলায় স্পট মিটারিংয়ের মাধ্যমে তৎক্ষনিক আবেদন পত্র গ্রহণ করে যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে।
শুক্রবার দারিয়াপুর আমান উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী স্পট মিটারিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) জেনারেল ম্যানেজার ডিএইচএম ওয়াহেদুল হক।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধা তুলশীঘাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এমএস) সহিদুর রহমান খান, সাবেক সভাপতি ডা. শাহজাহান, মেম্বার সার্বিস কো-অর্ডিনেটর শামসুল হক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দারিয়াপুর অঞ্চল শাখার অফিস ইনচার্জ রবিউল ইসলাম। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ৫নং এলাকা পরিচালক জাহাঙ্গীর মন্ডল।
গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ডিএইচএম ওয়াহেদুল হক জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করতে নিরলস ভাবে কাজ করছে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। তিনি আরোও জানান, তাৎক্ষণিক আবেদন পত্র সংগ্রহ করে যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে সমীক্ষা ফি বাবদ ৫০টাকা, আবেদন ফি বাবদ ১০০টাকা, জামানত বাবদ ৬০০ টাকাসহ মোট ৭’শ ৫০টাকায় গ্রাহকের দোরগোরায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে গ্রাহক হয়রানি ও সংযোগ প্রদানে দুর্নীতি কমে আসবে।
সংযোগ প্রাপ্তী একাধিক ব্যক্তিরা জানান, এত অল্প সময় এবং মাত্র ৭’শ ৫০টাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যায় আগে জানতাম না। এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করায় পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

মিঠাপাকুরে ধর্ষণ, অতপর ‘নষ্টা মেয়ের উপাখ্যান’ ও মামলার শিকার
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ রংপুরের মিঠাপুকুরে গত মাসে ধর্ষণের শিকার হয় এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো হামলার শিকার ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। এমনকি তাকে ‘নষ্টা মেয়ের’ অপবাদ দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
আর এ ঘটনায় মামলা হলেও প্রধান আসামি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এখনও গ্রেফতার হয়নি। প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামিরা। হুমকি দিচ্ছে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারকে। তবে ‘ধর্ষক’ রাশেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলীর ভাতিজা ।
ঘটনাটি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের তরফ বাহাদি গ্রামের। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ি একই ইউনিয়নের পশ্চিম বড়বালা গ্রামে। সে স্থানীয় শহীদ জিয়াউর রহমান বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ছড়ান বাজারে অবস্থিত স্টুডিওর মালিক রাশেদুল ইসলাম তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। গত ১ সেটেম্বর স্কুল থেকে ফেরার পথে রাশেদুল তাকে জোর করে স্টুডিওর ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ওই ছাত্রী বাড়িতে ফিরে এসে ঘটনা জানানোর পর অভিভাবকরা রাশেদুলের বাড়িতে গিয়ে বিচার চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশেদুলের বাবা শাহাদুর রহমান দুলাল ও চাচা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী সরকারসহ অন্যরা ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী ও তার স্বজনদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী সরকারসহ পাঁচজনকে আসামি করে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ আন্দোলনের মুখে রাশেদুলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী সরকারসহ অন্য আসামিরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। তারা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। চেষ্টা করছে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার।
এদিকে সাতদিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরে ওই ছাত্রী। কয়েকদিন পর সে স্কুলে যায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তাকে স্কুলে যেতে নিষেধ করেন। এরপরও বেশ কয়েকদিন স্কুলে গেলেও তাকে ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি। সে আবারও স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান তার হাতে টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) ধরিয়ে দেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে তোলপাড় শুরু হয়।
গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে মঙ্গলবার মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, এসি ল্যান্ড মাসুমা আরেফিন ও ওসি হুমায়ুন কবীর ওই স্কুলে যান। তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চান, কেন স্কুলছাত্রীকে টিসি দেওয়া হলো। প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান কোনও যুক্তি দেখাতে পারেননি। ফলে ওই ছাত্রীকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে প্রধান শিক্ষক নিজে গিয়ে ওই ছাত্রীকে স্কুলে নিয়ে আসেন।
মিঠাপুকুর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান,‘রাশেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামমুনুর রশীদ জানান, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ বেআইনিভাবে ওই ছাত্রীকে টিসি দিয়েছিল। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

১ thought on “গাইবান্ধার খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *