ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাপখোলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত জাহাঙ্গীর আলম শিকদার (৩৮) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮দিন পর সে মারা যায়।
শৈলকুপা থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের সাপখোলা গ্রামে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ইউপি সদস্য টিটু শিকদার এর একজন সমর্থককে গত বৃহস্পতিবার সকালে বর্তমান আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান ফারুখ বিশ্বাসের লোকজন মারধর করে।
এরই জের ধরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাপখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম সিকদারের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে দায়িত্বরত চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮দিন পর শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবরে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঝিনাইদহে পারিবারিক বিরোধের সংঘর্ষে আহত ৪ আটক ১ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে পারিবারিক বিরোধের জেরে পৃথক সংঘর্ষে ৪ আহত হয়েছে। ঘটনা দুটি ঘটেছে আজ সকাল ১১ টার দিকে সদর উপজেলার পুড়া-বেতাই ও নওদাপাড়া গ্রামে। ঘটনার সাথে জড়িত ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, জেলার সদর উপজেলার পুড়া বেতাই গ্রামের আফান হোসেন ও তার স্ত্রী পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া নিজ জমি থেকে সকালে একটি ভাটাম গাছ কাটে। এসময় আফানের চাচা জামাত আলী মোলল্লা তাদেরকে বাধা দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।
এসময় স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত জামাত আলী মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে একই সময়ের দিকে সদর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে আবু বক্কর ও আশরাফুল নামের দুই জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা রুবিনা জানান, হাসপাতালে ভর্তি আহত রুগীদের অবস্থা আশংকা মুক্ত। তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ছাত্রদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের অন্যতম নেতা সাদাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ও তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ।
উমেদপুর ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামে প্রধান অতিথির নিজ বাসভবনে শুক্রবার দুপুরে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা থেকে কর্মী সভায় আগত ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি অনেক মুল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন বাবুর ফিরোজ, হাকিমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, এম কেরামত আলী, উমেদপুর ইউপি সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান তুর্কী, ইবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের, সহ-সভাপতি রতন অধিকারী, ইবি ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমান ও রাজিবুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শৈলকুপা সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল লতিফ রাজু।কর্মী সভায় ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৩ সালের পর থেকে এযাবৎকাল আর শৈলকুপা উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নতুন কোন কমিটি হয়নি। বিবাহিত, বয়স্ক, অছাত্র ও অযোগ্যদের ব্যাতিরেখে অতিস্বত্ত্বর উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের দাবী জানায় তারা।
ঝিনাইদহে আ’লীগের ইউপি চেয়ারম্যান ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার সাগরেদরা লাপাত্তা !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজর থেকে বৃহস্পতিবার ভারতীয় ফেনসিডিলসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ ৫ জনকে আটক করার পর তার সগরেদরা গাঁঢাকা দিয়েছে। শুক্রবার বারোবাজার এলাকায় তাদের দেখা মেলেনি।
বিশেষ করে র্যাবের হাতে চেয়ারম্যান আবুল কালাম মরধর খাওয়ার পর মাদক নগরী হিসেবে পরিচিত বারোবাজার এলাকায় পিনপতনের নীরবতা বিরাজ করছে। মাদক স¤্রাট আবুল কালামের আটকরে বিষয়টিও গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সুষ্টি করেছে। এতো ক্ষমতাধর ব্যক্তির পতন দেখে কালাম বিরোধীরাও উল্লাসিত।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকালে বারোবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ ৫ জনকে ইয়াবা, বোমা ও ফেনসিডিলসহ আটক করে র্যাব। ঘটনার দিন বিকালে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বারোবাজারের চেয়ারম্যান আবুল কালামের গাড়ি চালক মিঠাপুকুর গ্রামের পুটের ছেলে সুজনকে আটক করে র্যাব। সুজনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বারোবাজার রেল লাইনের পাশে রুহুল আমিনের মার্কেটে র্যাব অভিযান চালায়।
এ সময় র্যাব বিপুল পরিমান ফেনসিডিলের সন্ধান পায়। খবর পেয়ে বারোবাজারের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম, তার ভাই সালাম ও ফরহাদ ঘটনাস্থলে এসে র্যাবের উপর চাপ দিতে থাকে।
র্যাব চেয়ারম্যানকে প্রথমে চলে যেতে বলে-তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে থাকেন এবং সন্ত্রাসীদের জড়ো করে সড়ক অবরোধ ও র্যাবের উপর হামলা করার চেষ্টা করেন। র্যাব এ সময় অবরোধকারীদের উপর মৃদু লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
অভিযোাগ রয়েছে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অনেক আগে থেকেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামেই বারোবাজারে মাদকের সর্ববৃহৎ ঘাট চলে। আওয়ামীলীগের টিকিটে জোর জবরদস্তি করে ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তিনি ও তার ভাইয়েরা মাদক ব্যবসায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
এলাকাবাসি আশংকা করছে কালাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আইনের ফাকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে আবারো ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে।
ঝিনাইদহে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী শুক্রবার বিস্তারিত কর্মসুচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়। শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মহেশপুর উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করে। এর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, স্মৃতি চারণ ও দোয়া মাহফিল। ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর এই দিনে ৩৪ বিঘা জমির উপর নির্মিত বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হয়।
সকাল ১১টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান কলেজ মাঠে জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুল মালেক গাজী, বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের সদস্য সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
এসময় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর আগে অতিথিরা শহীদের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অপর্ন করেন। ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার ধলাই সীমান্তে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হামিদুর রহমান যে গ্রামটিতে বেড়ে উঠছে সেই খোর্দ্দ খালিশপুর গ্রামটির নামকরণ করা হোক হামিদনগর। কিন্তু আজো নাম করণ করা হয়নি। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের জন্ম ১৯৪৫ সালে ভারতের নদীয়া জেলার ডুমুরিয়া গ্রামে।
১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তে ধলাই পাক সেনা ঘাটি আক্রমণ করে মুক্তিবাহিনী। সেই যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও রণকৌশল দেখান তিনি। এ সময় পাক সেনাদের গুলিতে তিনি শহীদ হন।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অন্তর্গত আমবাসা নামক স্থানে একটি মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়। সুদীর্ঘ ৩৬ বছর পর ২০০৭ সালের ১১ ডিসেম্বর হামিদুরের দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে ঢাকার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করে বাংলাদেশ সরকার।
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে বিএনপি নেতা আবুল হোসেনের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার মরহুমের নিজ বাড়িতে দিন ব্যাপি দলীয় ও পারিবারিক ভাবে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যে মরহুমের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। সকাল ১১টায় মরহুমের সমাধীতে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামছুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভপতি মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক তাইজাল হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি জিন্নতুল হক খাঁন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম পিন্টু ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি খায়রুল ইসলামসহ দলের সর্বস্থরের নেতা-কর্মীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে মসিউর রহমান বলেন, আবুল হোসেনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি ছিলেন দলের জন্য নিবেদীত প্রাণ। তার শূন্য স্থান পূরন হবার নয়। আবুল এর হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে এক দিন না এক দিন হবেই। আমরা তার আদর্শে অনুপেরিণত হয়ে সমানের এগিয়ে নিয়ে দলকে শক্তিশালী করবো।