ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোনো উইকেটেই এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জুটি। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে একাদশ বৃহত্তম। দ্বিতীয় উইকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। যেকোনো দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম জুটি।
যেভাবে অবলীলায়-অনায়াসে খেলছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল দুজন আরও বহুদূর পথ পাড়ি দেবেন। কিন্তু অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরিটাকে লম্বা করতে পারলেন না তামিম। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না। এর আগে দুটি রিভিউ নেওয়া হয়েছিল দুই দল মিলে। দুবারই সিদ্ধান্ত গেছে তামিমের পক্ষে। সে ভেবেই হয়তো তামিম একটা সুযোগ নিয়ে দেখতে চেয়েছেন। না হলে পরিষ্কার আউটই ছিল এটি।
বাংলাদেশ দলের শুরুটা চিন্তা করলে অবশ্য এসব নিয়ে আর আফসোস থাকবে না। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উচ্চাভিলাষী এক শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন ইমরুল কায়েস। ক্রিস ওকসের বলে কাট করতে গিয়ে ডাকেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইমরুল। দলের রান তখন মাত্র ১। মেঘলা আকাশে ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ইংলিশ পেসাররা।
তামিমকেও স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ২০তম বলে রানের খাতা খোলার পর থেকে ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তামিম। অন্যপ্রান্তে মুমিনুলও দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ১৪৭ বলে এক ডজন চারে খেলা ১০৪ রানের ইনিংসটা থেমে গেল।
এর আগে একাদশে একটা পরিবর্তন এনে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। দলে ঢুকেছেন অফ স্পিনার শুভাগত হোম চৌধুরী। প্রথম টেস্টের দলে থাকা পেসার শফিউল ইসলাম স্কোয়াডেই ছিলেন না। তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন অফ স্পিনার শুভাগত। তাঁকে নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টের দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার চারজন। দলে পেসার শুধু একজন, কামরুল ইসলাম।