ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি; গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন হস্তান্তরের আগেই ঝুঁকিবহন করায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ নব-নির্মিত ভবনটি নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে।
জানা যায়, পৌরসভাসহ ১৫ টি ইউনিয়ন মিলে বৃহৎ আয়তাকার বিশিষ্ট উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন কোন উন্নত নয়। এছাড়া কয়েকটি ছোট-বড় নদ-নদী প্রবাহিত হওয়ায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগের ফলে কোথাও কোন অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে রংপুর অথবা গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয় উপজেলাবাসীকে। এতে তেমন কোন উপকারে আসে না। ফলে প্রতি বছর অগ্নিকান্ডে যানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে।
এরই সুবিধার্থে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপনে ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে সরকারীভাবে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ভবনটি নির্মাণে ত্রুটিজনিত কারণে এর পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের বিশেষ অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। কৌশলে ঐ ফাটল মিশিয়ে পাশের ওয়ালের সঙ্গে লোহার রডে টানা দিয়ে কাজ সমাপ্তি করেন ঠিকাদার। এতে করে ভবনটি এখন ঝুঁকি বহন করছে বলে এই ভবন হস্তান্তর ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনায় কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এ ব্যাপারে গতকাল কথা হলে ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন- ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখে ভবনটি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে প্রক্কলিত ১ কোটি ১১ লাখ টাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ এখনও ভবনটি বুঝে নিচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক- শেখ আসাদুজ্জামান বলেন- নব নির্মিত ঐ ভবনটির সমস্যা জনিত কারণে এ অঞ্চলের সহাকারী পরিচালক আব্দুল মজিদ সাহেবকে দেখা-শোনার দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে। তিনি তা দেখে-শুনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ গণপূর্ত বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এর আলোকে উপর থেকে কোন নির্দেশ না আসায় ভবনটি গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এ নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা হলে রংপুর অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সহকারী পরিচালক আব্দুল মজিদ বলেন- জনবল কাঠামোগত দিকে একটু সমস্যা তো আছেই। তাছাড়া ভবনের দু’পাশের দেয়ালের সঙ্গে লোহার রড দিয়ে টানা দেয়ার পরও এটি কতখানি নিশ্চয়তা বহন করবে, তা দেখার বিষয়।