গ্রাম বাংলা ডেস্ক: মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত হবার পর এবার আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার হলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। ফলে তিনি এখন আর মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেতা নন। এতে তিনি হারাতে যাচ্ছেন এমপি পদটিও।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। বৈঠকসূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে বৈঠকটি শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চলছিলো। বৈঠকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসার পরপরই সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ দল। তবে ধর্মহীন দল নয়। কারও কোনো বক্তব্যে কোনো ধর্মের কারও যদি আঘাত লাগে তা মেনে নেওয়া হবে না। যখন হজ চলছে তখন লতিফ সিদ্দিকী হজের বিরুদ্ধে কথা বলে গর্হিত অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এরপর দলীয় নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে রোববার দুপুরে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। অপসারণ সংক্রান্ত ফাইলে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সই করার পর এ নিয়ে যথারীতি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক দলের সদস্য পদ হারালে ওই দলের মনোনীত এমপি পদটিও শুন্য হয়ে যায়। ফলে লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রী, নেতা এমনকি এমপি পদটিও হারাতে যাচ্ছেন।