গাইবান্ধায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সনদপত্র বিতরণ
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গাইবান্ধা কর্তৃক বেকার যুবকদের ০৩ মাসব্যাপী প্রশিক্ষন শেষে আজ বৃহঃস্পতিবার প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
যুব উন্নয়নের অধিদপ্তরের গাইবান্ধার ডেপুটি কো -অডিনেটর আঃ খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রসাসক (সার্বিক) মোঃ শামসুল আজম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উপ পরিচালক রয়েল আহম্মদ খাঁন প্রমুখ।
গোবিন্দগঞ্জে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ও শালমারা ইউনিয়নের তিনটি ভোট কেন্দ্রে আগামী ৩১শে অক্টোবর ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ভোটকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও মারপিটের ঘটনাসহ থানায় মামলা হয়েছে। ইহাতে ভোট কেন্দ্র এলাকায় শান্তিপ্রিয় মানুষ হতাশ হয়ে আশংকা প্রকাশ করছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট প্রয়োগের দাবিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক এম.এ মতিন মোল্লা, বাসদ গোবিন্দগঞ্জ শাখার আহবায়ক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এ্যাড. আশরাফ আলী, জেলা যুব মৈত্রীর সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হাসান সুমন, শ্রমিক নেতা সাইদুর রহমান আকন্দ প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
গাইবান্ধায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ জাতীয়বাদি যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা শহরে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালীটি জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিএনপি কার্যালয় চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা আহবায়ক মাহমুদুন্নবী রিটু।
বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আলমগীর সাদুল্যা দুুদু, আব্দুল কাফি মন্ডল, কামরুল হাসান সেলিম, ওয়াজেদ আলী আলী সরকার, অ্যাডভোটেক হানিফ বেলাল, শহিদুজ্জামান শহীদ, মাহমুদুন্নবী টিটুল,যুবদলেল সিনিয়ার যুগ্ম আহবায়ক মোশাররফ হোসেন বাবু, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাক আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক ভুটটু, রাগিব হাসান চৌধুরী, যুব নেতা অ্যাডভোকেট সজিব ও মোশফেকুর রহমান নিপন প্রমুখ।
সাদুল্যাপুর সর্বরোগের মহৌষধ পাওয়া যায় সোলায়মান আলীর কাছে
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল/গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ পেট ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বাতের ব্যাথা, একশিরা, গলা ফুলা, কান ফুলা, আমাশায়, গ্যাষ্টিক, পাইলস রোগসহ নারী-পুরুষের নানা যৌন সমস্যা ও ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্ড ও প্যারালাইসিস রোগের মহৌষধ।
এ ঔষধ বিফলে যাবেনা। এক ফাইলে যথেষ্ট। এ ঔষধের কোন ক্ষতিকর দিক নেই। তাই আসুন এক ফাইল ব্যবহার করে দেখুন রোগ ভালো হয় কি না? এভাবে ছড়ার মতো করে রাস্তার ধারে, হাট-বাজার ও বিভিন্ন অলি-গলিতে বসে নানা কথা আর চিল্লাচিল্লি করে সর্বরোগের ঔষধ বিক্রি করেন সোলায়মান আলী।
শুধু তাই নয় নিজেকে চিকিৎসক দাবী করে সোলায়মান আলী মানব দেহের পাশাপাশি পশু প্রাণীরও নানা রোগের চিকিৎসা করে থাকেন। তার ঔষধে হাজার-হাজার মানুষের জটিল-কঠিন রোগসহ নানা ধরণের রোগ ভালো হয়েছে।
চিকিৎসক সোলায়মান আলীর নেই কোনো সনদপত্র বা স্থায়ী চেম্বার এমনকি স্থায়ী ঠিকানা। যাযাবর চিকিৎসক সোলায়মান আলী কখনো রাস্তার ধারে, কখনো হাট-বাজারের ফুটপাতে আবার কখনো বিভিন্ন অলি-গলিতে বসে গলা ছাড়িয়ে চিল্লচিল্লি আর লোভনিয় লেকছারে মিনিটের মধ্যে সর্ব রোগের ঔষধ তৈরী করে চড়া দামে বিক্রি করছেন রোগীদের কাছে।
এভাবে সোলায়মান আলীর কবলে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন শতশত সাধারণ মানুষ। এছাড়া এসব ঔষধে সেবন ও ব্যবহারে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জটিল-কঠিন রোগের দিকে ধাবিত হচ্ছেন গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ।
সোলায়মান আলীর (৫২) বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার সৈয়দ আলীর ছেলে আমবাগান গ্রামে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন তিনি। এই লেখাপড়া শিখেই তিনি নিজেকে একজন চিকিৎসক বলে দাবী করেন। সোলায়মান আলী দেখতে প্রায় জঙ্গী বেশভুশের মতো। মুখে দাঁড়ি আর মেয়েদের মতো লম্বা মাথার চুল বেশ জটা ধরা। আবার ঔষধ বিক্রির সময় তিনি খালি গায়ে থাকতে পছন্দ করেন।
সাদুল্যাপুর উপজেলা শহরের পাবলিক লাইব্রেরী এন্ড ক্লাবের সামনে দেখা মেলে সোলায়মান আলীর কয়েদিন ধরে তিনি টেবিলের উপর ছোট ছোট কাঁচের বোতল, পানির বোতল, বিভিন্ন গাছের লতাপাতা, গাছের বাকল, কালিজিরা, শুকনা হাড়-হাড্ডিসহ বিভিন্ন কিট পতঙ্গের পসরা সাজিয়েছেন। টেবিলের উপর রাখা কড়াইয়ে এসব গাছের লতাপাটা, কিট পতঙ্গ আগুনে জ্বাল দিয়ে তৈরী করছেন সর্ব রোগের মহৌষধ। অনেক চিল্লাচিল্লির পর গ্রাম-গঞ্জের সহজ সরল মানুষ রোগ ভালোর আশায় নানা রোগের ঔষধ ক্রয় করছেন।
সোলায়মান আলী জানান, গাছের লতাপাতা, কিট পতঙ্গ, হাত-হাড্ডিসহ ১৮৪ প্রকার জিনিস দিয়ে ঔষধ তৈরী করেন। তার ঔষুধ বিফলে যাবেনা। তার ঔষধে মানবদেহের জটিল-কঠিন রোগসহ শতাধিক রোগ ভালো হয়। তবে চিকিৎসার বিষয়ে তিনি কোথাও কোন প্রশিক্ষণ নেননি। তার দাদা ও পিতা এভাবে চিকিৎসা করেছেন। তাদের ধারাবাহিকতায় তিনি চিকিৎসক। তিনি মারা গেলে তারা ছেলে এই পেশায় আসবে। তাই এখন থেকেই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হাট-বাজারে ঘোড়েন।
এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘চিকিসা বিজ্ঞানে সোয়ালমান আলীদের কোন অস্তীত্ব নেই। কিন্তু তার পরেও তারা দিনের পর দিন চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণ করে যাচ্ছে। তাদের ঔধুষে রোগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মানুষ সচেতন না হওয়ায় এসব ভন্ডরা স্থান পেয়েছে’।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ ইমরুল কায়েস জানান, কেউ অভিযোগ না করায় এসব হাতুরে চিকিৎসকের দৌড়াত্ব বেড়েছে। এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা প্রয়োজন।
সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহ্সান হাবিব জানান, অচিরেই এসব হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হবে।