নাইমুর রাজ্জাক বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশের চিঠিটি রাত নয়টার দিকে হাতে পেয়েছি। অসীম কুমার রায় বলেন, বেনজিরকে বহিষ্কারের কারণ হিসেবে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পুলিশকে মারধরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের কমিটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
রিকশাভাড়া নিয়ে বিতণ্ডার জেরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আজিজুল হক কলেজের পুরাতন ভবন এলাকায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বগুড়া শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম এবং তাঁর সহযোগীদের সংঘর্ষ বাধে। ওই সংঘর্ষে খুন হন কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র এবং ছাত্রলীগের বাংলা বিভাগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন। ওই ঘটনার পরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যাকারীদের সহযোগিতার অভিযোগ এনে ছাত্রলীগ শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় কলেজের নতুন ভবনের সামনে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেনজিরের হাতে লাঞ্ছিত হন শহরের স্টেডিয়াম ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন। মারধর ও ছুরিকাহত করা হয় যুবলীগের দুই নেতাকে।
এ ঘটনায় বেনজিরকে প্রধান আসামি করে দায়িত্ব পালনে বাধাদান, পুলিশের ওপর আক্রমণ ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগ এনে ১ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় মামলা করে পুলিশ। পরে হামলার শিকার যুবলীগের এক নেতা বাদী হয়ে বেনজিরকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। মামলার পর থেকেই বেনজির পলাতক।
অন্যদিকে ইব্রাহীম হত্যার ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর চাচা হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম কে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় পৃথক একটি হত্যা মামলা করেন।
জেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানিয়েছে, এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি তদন্ত দল বগুড়ায় আসে। তদন্ত শেষে ঢাকায় ফিরে ওই তদন্ত দল আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া ও সভাপতি বেনজিরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে।