এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাটে প্রতিনিধি, লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের মেরামত কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ করার অভিযোগ করে ঐ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। যার ফলে ৫ দিন থেকে বন্ধ রয়েছে মেরামত কাজ। এই নিম্নমানের খোয়া না সরানো পর্যন্ত রাস্তার কাজ বন্ধ থাকবে বলে এলাকাবাসী হুশিয়ারী দিলেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের বামনের বাসা চৌপথি হয়ে দক্ষিণে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর লালমনিরহাট থেকে প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। আর এ কাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে।
উক্ত কাজটি ঠিকাদার আলমগীর হোসেনের নামে কাগজে কলমে থাকলেও তার নামে কাজ করছেন স্থানীয় ঠিকাদার সহিদার রহমান। ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলী শামীন সারার ফুয়াদের সাথে চুক্তি করে অত্যন্ত নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহার করে রাস্তার কাজ করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু তারা নিম্নমানের খোয়া রাস্তায় ব্যবহার করার বিষয়টি বুঝতে পেয়ে গত শুক্রবার থেকে কাজটি বন্ধ করে দেন। ফলে সমস্যায় পড়েন ঠিকাদার সহিদার রহমান ও উপজেলা প্রকৌশলী ফুয়াদ। অবশেষে এলাকাবাসীর চাপে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের লোকজনও কাজ বন্ধ করে দিতে বাদ্ধ্য হয়। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এই নিম্নমানের খোয়া রাস্তা থেকে সরিয়ে ভাল মানের খোয়া দিয়ে কাজ না করা পর্যন্ত এই রাস্তার কাজ বন্ধ থাকবে।
এইসব অভিযোগের ফলে আজ (২৫ অক্টোবর) সকালে আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের কালীস্থান বামনের বাসা নামক ঘটনা স্থানে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার কিছু অংশে অত্যন্ত নিম্নমানের ইটের খোয়া বিছিয়ে বালু দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
ফলে এসব দেখে কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা।
চন্দনপাঠ গ্রামের দুই জন নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, রাস্তায় অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া ও বালু জাতীয় জিনিস ব্যবহার করায় আমরা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। তারা আরও জানায়, অত্যন্ত নিম্নমানের এসব খোয়া সামগ্রী রাস্তা থেকে না সরানো পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
স্থানীয় ঠিকাদার সহিদার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং উল্টো স্থানীয় আউয়াল নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ি যাওয়ার দেড়শ ফিট রাস্তা করে না দেয়ার ফলে তাঁর লোকজন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী শামীন সারার ফুয়াদ বলেন, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের কারণেই সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ঠিকাদারের সাথে চুক্তির বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর লালমনিরহাট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আল আমিন খান বলেন, স্থানীয় লোকজন রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন,এমন অভিযোগ পাওয়ার পর একটি তদন্ত টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে । তারা তদন্ত করে আমাদের কে জানালে আমরা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।