সৈয়দপুরে দফায় দফায় বাড়ছে চালের দাম

Slider টপ নিউজ

fod2

শাহরিয়ার সাদিক,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ সৈয়দপুরে মিল মালিকদের কারসাজির কারণে বাড়ছে চালের দাম, দিশেহারা সাধারণ মানুষ। বর্তমানে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী দাম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গত কয়েক মাসে মোটা চালের দাম খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ অস্থির হয়ে উঠেছে। চালের বড় ব্যবসায়ী ও চালের মিলের মালিকদের কারসাজির কারণে মোটা চালের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ী ও দোকানীদের সঙ্গে কথা বলে ‘দাম বৃদ্ধির’ এরুপ কথা জানা গেছে ।

জানা যায় সৈয়দপুর শহরের পাইকারী ও খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। ক্রেতা সাধারণকে চাল কিনতে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশী দিতে হচ্ছে। বাজারে এখন মোটা চাল ৪০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। পাইকারী বাজারে মোটা চালের ৫০ কেজির বস্তা দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। যার ফলে বাজারে মোটা চাল ও চিকন চালের দাম কাছাকাছি এসে গেছে। শহরের চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে ৯শ টাকার ৫০ কেজির মোটা চালের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা, বি আর আটাশ ১ হাজার ৬শ টাকার জায়গায়, ১ হাজার ৮৫০ টাকা, গুটি স্বর্ণা ১ হাজার ১৮০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৮শ টাকা এবং মিনিকেট ২ হাজার টাকার স্থলে ২ হাজার ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দামের প্রভাব পড়ায় প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০ টাকা, বিআর আটাশ ৫০ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা ৪০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। অসহনীয় দামের কারণে চাল কিনতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। চালের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে সৈয়দপুর বাজারের ব্যবসায়ী শামীম জানান, বড় পাইকারী ব্যবসায়ীদের মজুদ থাকলেও বাজারে চালের সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও সরকারের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কর্মসূচী পুরোমাত্রায় চালু না হওয়ায় চালের দামে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ কর্মসূচী চালু থাকলে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ত। ফলে মিলার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিতে পারত না। তিনি দাম সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে সরকারী উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান। সৈয়দপুর চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রাজুর জানান, সরকারী কিছু নীতির সুযোগ গ্রহণ করে বড় বড় অটো মিল মালিকরা চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাঁদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে চালের দাম কিছুদিন পর পর বাড়ছে। তিনি চালের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা বন্ধ করতে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, সরকারের মোটা চাল সংগ্রহের নীতিও চালের দাম বৃদ্ধি উসকে দিচ্ছে। শহরের গেট বাজারে চাল কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, দাম কমের কারণে আমরা মোটা চাল কিনে থাকি। চিকন চাল কিনে খাওয়ার সামর্থ আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের নেই কিন্তু মোটা চালের এই অতিরিক্ত মূল্যে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ১০ টাকা কেজি দরের চালও পাচ্ছি না আমরা। গরীব মানুষকে বাঁচাতে সরকারের উচিত চালের দর কমিয়ে আনা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ দেখছেন না বলে তারা অভিযোগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *