২০১৯ সাল নাগাদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর দলকে নিয়ে নির্বাচনে কোনো প্রশ্ন উঠুক—এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কখনই চাইব না—আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠুক। আমি চাই, আমাদের দল নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবারও জনগণকে সেবা করার সুযোগ লাভ করুক।’
আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতির দায়িত্ব পালনকে গুরুদায়িত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই দায়িত্ব সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পাদনে তিনি সচেষ্ট থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা আবারও আমার ওপর এই গুরুদায়িত্বটি অর্পণ করেছেন এবং আমি এই দায়িত্ব সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনে সচেষ্ট থাকব।’
দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন খুব কঠিন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আবারও আমাকে সেই কঠিন দায়িত্বই অর্পণ করেছেন এবং আমি সেটা গ্রহণও করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো অব্যাহত রাখতে চাই। এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা আমার একান্তভাবেই কাম্য।’
প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় হতদরিদ্র জনগণের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আমরা একে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চাই।…আমি এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতার মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ না খেয়ে থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেব।’