ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলা শহরের পুরাতন জজ কোর্ট চত্তরে ফার্নিচার ও কসমেটিকস মেলার মাঠে প্রতি রাতে জমজমাট জুয়ার আসর বসছে । খেলা শেষে গভীর রাতে খালি হাতে বাড়ি ফিরে আসছেন জুয়ার নেশায় মত্ত মানুষ গুলো ।
পরিবারের শান্তি ভঙ্গ হলেও জুয়ার অর্থ নিয়ে পকেট ভারী করছে এক শ্রেনীর জুয়া ব্যবসায়ী। বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও বয়সের মানুষ আয়ের সব টাকা ঢেলে দিচ্ছে তাদের পাতা ফাঁদে। প্রশাসনের নিরবতায় পরিস্থিতি নাজুক আকার ধারন করেছে । অপর দিকে বিক্রি না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন ।
স্থানীয় সুত্র জানায়, দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মাসে জেলা শহরের পুরাতন জজ কোর্ট চত্তরে ফার্নিচার মেলার আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে চুড়ি মালা, কাঠের ফার্নিচার নিয়ে হাজির হন ব্যবসায়ীরা ।
দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনো জমে উঠেনি মেলা । বিক্রি না হলেও রাত ১০টার পর থেকে জমজমাট জুয়ার আসরে জোয়াড়িদের ঢল নামছে। ফরগুটি, চরকা, ১/১০ খেলায় মেতে উঠছেন সব বয়সের মানুষ।
লাখ লাখ টাকার খেলা হচ্ছে সেখানে। মেলার মাঠ ঘুরে দেখা যায় জোয়ার আসরের আসপাশে নিষ্ঠার সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন । রিকসাচালক, ছাত্র, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ টাকার খেলায় সেখানে মেতে উঠেছেন। দামী গাড়ি চড়েও গভীর রাতে দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসছেন জুয়াড়িরা।
রিকসা চালক দিনভর যা কামায় করেছেন তা জুয়ার খেলায় হেরে নি:স্ব হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এতে করে অত্রাঞ্চলের পাড়া মহল্লায় জুয়ার খেলার বিরুপ প্রভাব পড়েছে। জুয়ার খেলার মরণ নেশায় স্বর্বশান্ত হচ্ছে এলাকার হতদরিদ্র মানুষও।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির জাহিদ হাসান লিপু জানিয়েছেন, আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ফার্নিচার ও কসমেটিকস মেলার অনমুতি দেয়া হয়েছে। জুয়া খেলার জন্য কোন প্রকার অনুমতি দেয়া হয়নি বলে জোর দিয়ে জানান সুত্রটি ।
এদিকে মেলার আয়োজক সমিতির অন্যতম কর্ণধার রোকনুজ্জামান রোকন বলেছেন, আরো কয়েক দিন পরে মেলা জমে উঠবে । তার দাবী জুয়ার আসরের কারনে মেলায় কোন প্রভাব পড়ছেনা। ইতিমধ্যে জুয়ার আসরে হামলার ঘটনা ঘটেছে মর্মে স্বীকার করার পরেও তার দাবী সব কিছু ঠিকঠাক মত চলছে।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার বলেছেন মেলায় জুয়ার আসর বসছে কিনা জানা নেই তার। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য নিজে মেলার মাঠে যাবেন বলে জানান তিনি ।
ঝিনাইদহ এবার সিসি ক্যামেরার আওতায় !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। ইতিমদ্যে ঝিনাইদহ জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা সদর ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।
এছাড়া ঝিনাইদহ শহরে একশ’র বেশি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কাজ চলছে অন্য উপজেলা গুলোতেও। বাদ পড়েনি মন্দির-গির্জাও।
সূত্র জানিয়েছেন, এ বছর ঝিনাইদহ জেলায় ৪ জন মানুষ টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে একজন মন্দিরের পুরোহিত ও একজন সেবায়েত হত্যার পর মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
বিষয়টি বিবেচনায় এনে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ব্যবসায়ী, মন্দির, গির্জা কমিটি, ব্যাংক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মালিকদের সিসি ক্যামেরা বসাতে উদ্বুদ্ধ করে।
মানুষ পুলিশের আহ্বানে সাড়া দেয়। এরপর থেকে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ১শ’ টির বেশি ক্যামেরা। বাকি ৫ উপজেলাতেও চলছে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ।
ঝিনাইদহ শহর, কালীগঞ্জের কয়েকটি মন্দির, গির্জায় বসানো হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে প্রাদ্রী ও পূজারীরা।কালীগঞ্জ কালী মন্দিরের পুরোহিত সাংবাদিককে বলেন,
‘গত কয়েকটি ঘটনা ঘটনার পর থেকে আমরা মন্দিরের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে পূজার্চনা করতাম। এখন মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। ভালো মতো পূজা করতে পারছি। কোনো সমস্যা নেই।’
কালীগঞ্জের কলেজপাড়া এজি চার্চের পাদ্রী রেভারেন্ট জন তালুকদার সাংবাদিককে বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানোর আগে এখানে কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোক আসা যাওয়া করতো। সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর থেকে তারা আর আসে না। ভালো মতো নির্ভয়ে উপাসনা করতে পারছি।’
ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সাংবাদিককে বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা বেড়েছে। অপরাধ সংগঠিত হলেও তাদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।’
ঝিনাইদহকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। ইতিমদ্যে ঝিনাইদহ জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা সদর ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া ঝিনাইদহ শহরে একশ’র বেশি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কাজ চলছে অন্য উপজেলা গুলোতেও। বাদ পড়েনি মন্দির-গির্জাও।
সূত্র জানিয়েছেন, এ বছর ঝিনাইদহ জেলায় ৪ জন মানুষ টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে একজন মন্দিরের পুরোহিত ও একজন সেবায়েত হত্যার পর মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
বিষয়টি বিবেচনায় এনে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য ব্যবসায়ী, মন্দির, গির্জা কমিটি, ব্যাংক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মালিকদের সিসি ক্যামেরা বসাতে উদ্বুদ্ধ করে।
মানুষ পুলিশের আহ্বানে সাড়া দেয়। এরপর থেকে ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ১শ’ টির বেশি ক্যামেরা। বাকি ৫ উপজেলাতেও চলছে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ।
ঝিনাইদহ শহর, কালীগঞ্জের কয়েকটি মন্দির, গির্জায় বসানো হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছে প্রাদ্রী ও পূজারীরা।কালীগঞ্জ কালী মন্দিরের পুরোহিত সাংবাদিককে বলেন,
‘গত কয়েকটি ঘটনা ঘটনার পর থেকে আমরা মন্দিরের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে পূজার্চনা করতাম। এখন মন্দিরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। ভালো মতো পূজা করতে পারছি। কোনো সমস্যা নেই।’
কালীগঞ্জের কলেজপাড়া এজি চার্চের পাদ্রী রেভারেন্ট জন তালুকদার সাংবাদিককে বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানোর আগে এখানে কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোক আসা যাওয়া করতো। সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর থেকে তারা আর আসে না। ভালো মতো নির্ভয়ে উপাসনা করতে পারছি।’
ঝিনাইদহ শহরের গীতাঞ্জলী সড়কের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সাংবাদিককে বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা বেড়েছে। অপরাধ সংগঠিত হলেও তাদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।’
ঝিনাইদহ শহরের বিলাস বহুল আবাসিক হোটেল রেডিয়েশনের চেয়ারম্যান এম এ জলিল সাংবাদিককে বলেন, ‘আমি হোটেল ব্যবসা করেছি। দেশ ও বিদেশ থেকে নানা প্রকৃতির গেস্ট আমাদের হোটেলে অবস্থান করেন। শহরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে ব্যবসায়ে নিরাপত্তা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে স্বস্তি।’
ভারতের চব্বিশ পরগনা থেকে আসা ব্যবসায়ী আশিষ কুমার কুন্ডু বলেন, ‘ব্যবসায়ের কাজে আমাকে প্রায়ই ঝিনাইদহ শহরে অবস্থান করতে হয়। ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
এ ধরনের কার্যক্রমের জন্য আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মন্টু সাংবাদিককে বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ড দূরে রাখতে প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।’
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিককে বলেন, জেলার নিরাপত্তা জোরদার ও জেলা থেকে অপরাধ কমিয়ে আনার জন্য এ কার্যক্রম সুফল বয়ে আনবে। ইতোমধ্যে আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ১শ’ টিরও বেশি ক্যামেরা লাগিয়েছি।
এছাড়াও বাকি ৫টি থানা পর্যায়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে ঝিনাইদহ থেকে অনেক অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমে গেছে।
কে বলেন, জেলার নিরাপত্তা জোরদার ও জেলা থেকে অপরাধ কমিয়ে আনার জন্য এ কার্যক্রম সুফল বয়ে আনবে। ইতোমধ্যে আমরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ১শ’ টিরও বেশি ক্যামেরা লাগিয়েছি।
এছাড়াও বাকি ৫টি থানা পর্যায়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে ঝিনাইদহ থেকে অনেক অপরাধমূলক কর্মকান্ড কমে গেছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুলাল শাহ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকালে উমেদপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন সাংবাদিককে জানান, দুলাল শাহ ভ্যানে শৈলকুপা থেকে গাড়াগঞ্জে যাচ্ছিলেন। পথে বারইপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে দুলাল শাহ রাস্তার ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।