নিরাপত্তার জন্য আজও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া সর্বসাধারণের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
কাউন্সিল অধিবেশনে কয়েকজন কাউন্সিলরকে তিন মিনিট করে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁদের সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করবেন। এরপর দলের সংশোধিত ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হবে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া হবে। শুরু হবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন–প্রক্রিয়া।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, আজকের অধিবেশনে আগ্রহের কেন্দ্র পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজকে নিয়েও আগ্রহ রয়েছে কাউন্সিলরদের। এ দুজনই এবার কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বলেন, ইতিমধ্যে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। রেওয়াজ অনুযায়ী কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি পদের জন্য নাম প্রস্তাব করেন। আরেকজন তা সমর্থন করেন। সাধারণ সম্পাদক পদেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
দলের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের রেওয়াজ অনুযায়ী সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এতে আজই এ প্রশ্নের মীমাংসা হয়ে যাওয়ার কথা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ ৮৩টি। নতুন ৮ পদসহ কমিটিতে ১১টি পদ খালি আছে। তা ছাড়া বিগত কমিটির কয়েকজন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে একাধিক নেতা গতকাল জানান।
এবারের সম্মেলন আয়োজন, আঙ্গিক ও সাজসজ্জা খুবই জৌলুশপূর্ণ বলে দলের নেতারা মনে করছেন। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্বোধনী সম্মেলন প্যান্ডেল, আশপাশের মাঠ ও উদ্যানের বাইরে বিপুল নেতা-কর্মীর সমাগম হয়।
ক্ষমতাসীন দলের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় গতকাল যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। সন্ধ্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় যান চলাচলের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।