মানবতা-বিরোধী অপরাধের বিচারের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তিনি ভারপ্রাপ্ত আমির হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নতুন নেতৃত্ব জামায়াতে ইসলামীতে কী পরিবর্তন আনতে পারে?
দৈনিক নয়াদিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন জামায়াতে ইসলামীকে অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
“একসময় মূলধারার রাজনীতিতে ছিল জামায়াতে ইসলামী, কিন্তু এখন দলটির যে অবস্থা তা খুব একটা স্বাভাবিক নয়। তাদের ভেতরে ভেতরে কাজ করতে হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মকান্ড ইন্টারনেট ভিত্তিক হচ্ছে। তারা যে সমস্যাটার মধ্যে পড়েছিল তার বড় একটা বিষয় ছিল নতুন নেতা নির্বাচন করা”-বলেন মি: বাবর।
তাহলে রাজনীতিতে এখন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা কতটা দেখা যাচ্ছে?
এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বাবর বলছেন “জামায়াত ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন। এর মজলিসে সুরাই সবকিছু নির্ধারণ করে। একজন শিক্ষক হিসেবে মকবুল সাহেব শান্তশিষ্ট মানুষ, দলকে তিনি ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যাবেন”।
“সময়ই বলে দেবে নতুন আমীর জামায়াতকে কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি জামায়াতকে আস্তে আস্তে সক্রিয় করার চেষ্টা করবেন এবং তাঁর সহযোগীরাও তাঁকে সাহায্য করবেন।
“জামায়াতের অবস্থান শক্ত হওয়ার জন্য এখনও আরও অনেক ধাপ বাকী আছে, নতুন আমীর নির্বাচিত হলো, এরপর কর্মপরিষদ , সেক্রেটারি জেনারেল নিয়োগ দেয়া হবে”-বলেন মি: বাবর।
জামায়াতের নতুন আমীর নির্বাচিত হওয়ার পর মকবুল আহমাদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে পরিবর্তনের সুর আছে বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন বাবর।
মি: বাবর মনে করেন “জামায়াতের নতুন আমীর দায়িত্ব গ্রহণের পর মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে দেশের সব নেতার প্রতি তিনি যেভাবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন সেই ধারা অব্যাহত থাকলে জামায়াত আবার সম্মুখ রাজনীতিতে চলে আসবে”।
সুত্রঃ বিবিসি