মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এনজিওর জন্য নয়: সুরঞ্জিত

Slider জাতীয়

522ae56d46e47-suranjit

ঢাকা; বৈদেশিক অনুদান আইনকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) যে বিবৃতি দিয়েছে, তা নাকচ করে দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তাদের জন্য নয়।
আজ মঙ্গলবার সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সম্মেলনে সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধানে গণমাধ্যমের যে অধিকার আছে, বেসরকারি সংস্থার সেটা নেই। ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নাগরিকের জন্য। বেসরকারি সংস্থা এখানে অনেক ইনফেরিওয়র।
৫ অক্টোবর সংসদে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৬ পাস হয়। ওই আইনে বলা হয়েছে, কোনো এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) বা ব্যক্তি এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে এবং সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক বা অশালীন মন্তব্য করলে বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ আইন কেউ অমান্য করলে এনজিও ব্যুরো সেই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করতে পারবে। এনজিওতে বিদেশি উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড় নিতে হবে।

এ আইনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ৯ অক্টোবর ১৭টি বেসরকারি সংস্থা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, আইনের এই ধারাটি শুধু অস্পষ্ট, স্বেচ্ছাচারমূলক ও অপব্যাখ্যাযোগ্যই নয়, এটি বাক্‌-স্বাধীনতা সম্পর্কিত সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। তারা আইনটি সংশোধনের দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, একটা সার্বভৌম সংসদকে তো কোনো ফরেন বডি গালি দিতে পারে না। তাহলে সার্বভৌমত্ব থাকে না। বিশ্বের কোথাও এটা নেই। কাজ করতে হলে এই আইনের অধীনে করতে হবে। গণমাধ্যম বলতে পারে। কারণ সংবিধান গণমাধ্যমকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু কোনো ফরেন বডির তো সে অধিকার নেই। এনজিওর জন্ম আইনের দ্বারা। বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি বিরোধী দলের মতো কথা বলতেই হয়, তাহলে অপজিশনে যান।

চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন সুরঞ্জিত
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন পত্রিকাসহ নানা জায়গায় আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিবেশিত কিছু তথ্য দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এর মধ্যে কোনোটি সমবেদনামূলক এবং কোনোটি বিভ্রান্তিমূলক। কেউ কেউ বলেছে, আমি নাকি ক্যানসারে আক্রান্ত। এমনকি আমার এলাকাতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে এবং আমি কবে কোন তারিখে মারা যাব, তা-ও ঘোষণা করা হয়েছে। আসলে আমি মায়েলোডিস প্লাস্টিক সিনড্রোমে ভুগছি। এর ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের মাত্রা কমে গেছে। এটি ক্যানসার-জাতীয় কোনো রোগ নয়।’ এ জন্য চিকিৎসা নিতে নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলেও জানান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *