বাউফল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি; পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া নৌপুলিশের বিরুদ্ধে জব্দকরা মা ইলিশ গরীব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ না করে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার উপজেলার কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে পুলিশের এ ধরনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ মাছ খাওয়া বা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা তারের পুল এলাকায় আবদুর রাজ্জাক নামের এক ব্যাক্তি তেঁতুলিয়া নদী থেকে অবৈধভাবে শিকার করা তিন মণ ইলিশ ক্রয় করে অন্যত্র পাচার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মনিরের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্য সাইফুল, কামাল ও মালেক ঘটনাস্থলে গিয়ে মাছ আটক করে কালাইয়া বন্দরের পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। অভিযোগ রয়েছে, মাছের সাথে রাজ্জাককেও আটক করা হলেও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে কয়েকটি মটরসাইকেলে মাছ বস্তায় ভরে বহন করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সাংবাদিকদেও নজরে আসে। সাংবাদিকরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন প্রতিনিধি পাঠান। ওই প্রতিনিধিকে পুলিশ এতিমখানায় বিলি করার জন্য ১০/১২টি মাছ দিয়ে বাকি মাছ নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন।
এবিষয়ে কালাইয়া নৌপুলিশ ফারির ইনচার্য এএসআই মনির জানান, ধান ক্ষেত থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৫০ কেজির মত ইলিশ উদ্ধার করে উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিলি বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের মধ্যে ইলিশ ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি এবং ওই মাছ আটকের সময় কোন মালিকও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ জামান বলেন, নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ আমার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। মাছ আটকের খবর সাংবাদিকদের মাধ্যমেই পেয়েছি। পরে এএসআই মনির আমাকে জানালে আমি ফাঁড়িতে প্রতিনিধি পাঠাই। তার কাছে অল্প কয়েকটা মাছ এতিমখানায় দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।