ঢাকা; বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইনের কারণে নাগরিক সমাজের কথা বলার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) চেয়ারপারসন হোসে কার্লোস উগাস।
সোমবার দুদিনের ঢাকা সফর শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইয়ের চেয়ারপারসন বলেন, আমরা সরকারের শত্রু নই। আমরা দুর্নীতিবাজদের শত্রু, দুর্নীতির শত্রু। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে আমরা সরকারকে সহায়তা করতে চাই। নতুন এ আইন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হোসে কার্লোস উগাস বলেন, নাগরিক সমাজ কীভাবে কাজ করে, তার একটি আন্তর্জাতিক মানদ- রয়েছে। আমি মনে করি, আইনের কারণে নাগরিক সমাজের কথা বলার সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। প্রত্যাশা করি, সরকার সুযোগটি সীমিত করবে না, কারণ আমরা শুধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি। বাংলাদেশে দুদকের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে জড়ানো ঠিক নয়। মানুষের আস্থা ফেরাতে দৃশ্যমান ব্যবস্থা থাকতে হবে। ছোট ছোট দুর্নীতিবাজের পরিবর্তে বড় দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
টিআইবির চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, বিলের ১৪ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে নাগরিক ও সংগঠনের জন্য অনেক অধিকার আছে। এ আইনে সেই অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। তিনি বলেন, নতুন আইন বলা হয়েছে, সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক ও অশালীন বক্তব্য দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। এখানে বিদ্বেষমূলক এবং অশালীন বক্তব্যের সংজ্ঞা কী, সেটা ব্যাখ্যা করা হয়নি। তাই এর অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।