গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রচন্ড শক্তি সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’ বাংলাদেশে আঘাত করছে না। ঝড়টি বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর থেকে অনেক দূর দিয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী রোববার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যার (ওডিসা) বিশাখাপট্টম ও গোপালপুরের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার হতে পারে। কখনো ১৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। হুদ হুদ নামটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ‘ওমানের’ দেয়া। ওমানে হুদ হুদ অর্থ পাখি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দুরে ছিল। হুদহুদের প্রভাবে বাংলাদেশে প্রবল বর্ষণ হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি ৭ অক্টোবর লঘুচাপ আকারে আবির্ভূত হয়ে এক দিন পর গত বুধবার নিম্নচাপ থেকে শক্তিশালী হয়ে ঘুর্ণিঝড় হুদহুদে রূপান্তরিত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হুদ হুদ’ সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে (বৃহস্পতিবার ৯ নম্বর বুলেটিন অনুসারে) পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দণি-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।