একই মামলায় তারেকের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার মামুনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে নিম্ন আদালতে তাঁকে দেওয়া ৪০ কোটি টাকার অর্থদণ্ড পরিবর্তন করে ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন। রায় ঘোষণার প্রায় তিন মাস পর আজ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলো।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের হিসাবে পাচার করা হয়। ওই হিসাব থেকে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা খরচ করেন তারেক।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন বিচার শেষে রায় ঘোষণা করেন। এতে তারেককে খালাস এবং মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ে মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও হয়।
মামলার শুরু থেকে তারেক দেশে ছিলেন না। এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে মামুন কারাগারে।
২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে তারেককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারেক যুক্তরাজ্য থেকে না ফেরায় তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করে তাঁর লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এরপরও তারেক সাড়া না দেওয়ায় তাঁকে পলাতক ঘোষণা করেন আদালত। পরে গত ৪ মে হাইকোর্টে দুদকের আপিল ও কারাদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে মামুনের আপিলের একসঙ্গে শুনানি হয়।