ভারতের গোয়াতে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে আজ আয়োজক দেশ ভারত সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেও সম্মেলনের শেষে গৃহীত যৌথ ঘোষণাপত্রে তার বিশেষ একটা প্রতিফলন দেখা যায়নি।
ব্রিকসের সঙ্গেই যে বিমস্টেক আউটরিচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বলেছেন, জঙ্গিবাদ যে আকারেই আসুক না-কেন, তাকে পরাস্ত করতেই হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের নাম না-করেও তাদের সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর বলে বর্ণনা করেছেন।
সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা হিসেবে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করাটা কতখানি প্রয়োজন, চীন ও রাশিয়াসহ ব্রিকসের অন্য সদস্যদের তা বোঝানোর জন্যও ভারত সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বেছে বেছে এগোনোর কোনও সুযোগ নেই।”
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে ভারতের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার মতবিরোধের বিষয়টি সামনে চলে এসেছিল।
উরির হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও বেইজিং তাদের পুরনো মিত্র ইসলামাবাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে, এমন কী জইশ-ই-মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রেও জাতিসংঘে তারা বাদ সেধেছে।
উরিতে হামলার পরও রাশিয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের নির্ধারিত যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করেনি।
ফলে উরির হামলার এক মাসেরও কম সময়ের ভেতর যখন গোয়াতে ব্রিকস-ভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা মিলিত হচ্ছেন – ধারণা করা হয়েছিল সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে বিশেষত চীন ও রাশিয়াকে পাশে পেতে ভারত সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে।
কিন্তু শেষ দিনে পাঁচ সদস্য দেশ একমত হয়ে যে গোয়া ডিক্লারেশন জারি করেছে তাতে সার্বিকভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা থাকলেও পাকিস্তানকে সরাসরি বিব্রত করতে পারে, এমন কোনও মন্তব্য ঠাঁই পায়নি।
যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে ভারতের যা ব্যাখ্যা, তাতে তারা চীন বা রাশিয়ার মতো ব্রিকসের অন্য সদস্য দেশগুলোকে পুরোপুরি সহমত করাতে পারেনি।
এদিকে গোয়াতেই আজ বিমস্টেক আউটরিচে ভাষণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হলে তাদের যারা মদত দেয়, অর্থ বা প্রশিক্ষণ দেয় তাদের আগে নির্মূল করা দরকার।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
ব্রিকসের সঙ্গেই যে বিমস্টেক আউটরিচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বলেছেন, জঙ্গিবাদ যে আকারেই আসুক না-কেন, তাকে পরাস্ত করতেই হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের নাম না-করেও তাদের সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘর বলে বর্ণনা করেছেন।
সন্ত্রাসবাদের মদতদাতা হিসেবে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করাটা কতখানি প্রয়োজন, চীন ও রাশিয়াসহ ব্রিকসের অন্য সদস্যদের তা বোঝানোর জন্যও ভারত সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বেছে বেছে এগোনোর কোনও সুযোগ নেই।”
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে ভারতের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার মতবিরোধের বিষয়টি সামনে চলে এসেছিল।
উরির হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও বেইজিং তাদের পুরনো মিত্র ইসলামাবাদের পাশেই দাঁড়িয়েছে, এমন কী জইশ-ই-মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রেও জাতিসংঘে তারা বাদ সেধেছে।
উরিতে হামলার পরও রাশিয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের নির্ধারিত যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করেনি।
ফলে উরির হামলার এক মাসেরও কম সময়ের ভেতর যখন গোয়াতে ব্রিকস-ভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা মিলিত হচ্ছেন – ধারণা করা হয়েছিল সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে বিশেষত চীন ও রাশিয়াকে পাশে পেতে ভারত সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে।
কিন্তু শেষ দিনে পাঁচ সদস্য দেশ একমত হয়ে যে গোয়া ডিক্লারেশন জারি করেছে তাতে সার্বিকভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা থাকলেও পাকিস্তানকে সরাসরি বিব্রত করতে পারে, এমন কোনও মন্তব্য ঠাঁই পায়নি।
যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে ভারতের যা ব্যাখ্যা, তাতে তারা চীন বা রাশিয়ার মতো ব্রিকসের অন্য সদস্য দেশগুলোকে পুরোপুরি সহমত করাতে পারেনি।
এদিকে গোয়াতেই আজ বিমস্টেক আউটরিচে ভাষণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হলে তাদের যারা মদত দেয়, অর্থ বা প্রশিক্ষণ দেয় তাদের আগে নির্মূল করা দরকার।
সূত্র: বিবিসি বাংলা