চাঁপাইনবাবগঞ্জ; শিবগঞ্জ থানার এসআই গাজী মোয়াজ্জেমের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে শিবগঞ্জের নিরিহ সাধারন জনগন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ফেনসিডিলের ব্যবসারও অভিযোগ পাওয়া রয়েছে। জানাগেছে, এসআই মোয়াজ্জেম শিবগঞ্জে যোগদানের পর থেকেই নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়লেও তার ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা ।
অভিযোগ রয়েছে, এসআই গাজী মোয়াজ্জেম শাহবাজপুর ইউনিয়নে একাধিক সিন্ডিকেট গড়ে তুলে ফেনসিডিল ও অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সে সাধারন মানুষকে মামলার ভয় ও গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এনিয়ে কেও প্রতিবাদ করলেই তাকে অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সর্বশেষ শুক্রবার গভীর রাতে এসআই গাজী মোয়াজ্জেম তার নিজস্ব ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের নিয়ে তল্লাশী চালায় উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের জেনারুল ইসলামের বাড়িতে। তার বাড়ীতে ঢুকে তল্লাশীর নামে বাক্স থেকে গরু বিক্রয়ের ১৯ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন জেনারুলে স্ত্রী সাবিয়া বেগম। তিনি আরও জানান,আমার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা নেই। অথচ এসআই মোয়াজ্জেম ১০/১২জন লোক নিয়ে এসে বাড়িতে তল্লাশী চালায় এবং বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়। এসময় কালাম নামে একজনের হাতে একটি ব্যাগে ফেনসিডিল সে দেখতে পায়। তার ধারণা ফেনসিডিল দিয়ে ফাঁসানোর জন্যই পুলিশ জেনারুল কে খুজছিল। তার ছেলে শ্যামপুর এমএন ইংলিশ একাডেমীর ২য় শ্রেণির ছাত্র আসাদুল হক জানান,পুলিশ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার বাবা কোথায় আছে জানতে চাই। সে বাবার খবর জানেনা বলে জানালে তাকে বিছানা থেকে তুলে লাঠি দিয়ে পিঠানোর হুমকি দেয়। আসাদুল আরও জানায় পুলিশ তল্লাসী করার সময় বাক্স থেকে টাকা বের করে । এছাড়া তার জমিয়ে রাখা ৫০ টাকাও নিয়ে যায়। ধোবড়া এলাকার রেসমি নামে এক নারী অভিযোগ করে বলেন,দারোগা মোয়াজ্জেম কালামের সাথে যোগসাজস করে তার ছেলে সাগর কে অস্ত্র ও ফেনসিডিল ব্যবসায় বাধ্য করতে চাই। সাগর তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন মামলা ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছি কালাম। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে বেশ কিছু দিন আগে ধোবড়া বাজারে কালামের নিজস্ব তৈরি আওয়ামী অফিস থেকে একটি সুটার গান উদ্ধার করা হয়। সেটি কালাম ব্যবহার করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। তার পরেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেইনি। এর কিছুদিন আগে কালামের স্ত্রীকে ফেনসিডিলসহ আটক করে আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি দল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার এসআই গাজী মোয়াজ্জেম জানান, কালাম ও জেনারুল দুইজনই ফেনসিডিল ব্যবসায়ী। তাদের অভ্যান্তরীন একটি দন্দ রয়েছে। কালামের অভিযোগের ভিত্তিতে জেনারুলের বাড়িতে তল্লাশী চালানো হয়। তবে জেনারুলের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নেয়া হয়নি।