যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে জনসমর্থনে শতকরা ৭ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। শুক্রবার রয়টার্স/ইপসোস তাদের সর্বশেষ জরিপ প্রকাশ করে। তাতে এমন তথ্য মিলেছে। জরিপে বলা হয়েছে, শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৩৭ ভাগ। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার পর আরেকটি জরিপ মঙ্গলবার চালিয়েছিল রয়টার্স/ইপসোস। তাতে হিলারির চেয়ে ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু শুক্রবার তার বিরুদ্ধে আরও দু’নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। তারা হলেন মার্কিন সংস্করণ ‘দ্য অ্যাপ্রিনটিস’-এর প্রতিযোগী সামার জারভোস ও অভিনেত্রী ক্রিস্টিন অ্যান্ডারসন। তারা বলেছেন, ডনাল্ড ট্রাম্প তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। তাদের শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো তিনি স্পর্শ করেছেন। এর আগে তার বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ আনেন আরও দু’নারী। তারা হলেন জেসিকা লিডস ও মিসেস রাসেল কুকস। ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০০৫ সালের একটি অডিও-ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর এসব নারী সামনে এগিয়ে আসেন। তারা প্রকাশ্যে বলে দেন তাদের সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্প কি আচরণ করেছিলেন। ওদিকে ওই অডিও-ভিডিওতে ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত যৌন জীবন সম্পর্কে সরাসরি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যখন আপনি একজন তারকা হয়ে যাবেন তখন নারীদের নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারবেন। এসব নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। ট্রাম্পকে দলীয় মনোনয়ন বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থী খোঁজার দাবি জোরালো হয় রিপাবলিকান শিবিরে। কিন্তু ট্রাম্প অনমনীয় অবস্থানে। তিনি জানিয়ে দেন, তিনি নির্বাচন থেকে কোনো অবস্থায়ই সরে যাবেন না। এ অবস্থায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক। আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে হিলারি ক্লিনটনের সমর্থন বেশ বেড়েছে। আগস্টের শেষ সপ্তাহে দু’প্রার্থীর সমর্থনই প্রায় কাছাকাছি ছিল। তারপর অনুষ্ঠিত বিতর্কে হিলারি ক্লিনটন বিজয়ী হয়েছেন জনমত জরিপে। জরিপে দেখা গেছে শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ সমর্থন করেছেন হিলারিকে। ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৩৭ ভাগ। লিবারেটারিয়ান দলের প্রার্থ গ্যারি জনসনকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৬ ভাগ মানুষ্ গ্রিন পার্টির জিল স্টেইনকে সমর্থন করেছেন শতকরা দুই ভাগ মানুষ। উল্লেখ্য, রয়টার্স/ইপসোস যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যেই ইংরেজিতে তাদের জরিপ পরিচালনা করে। সর্বশেষ জরিপে অংশ নেন ২৮৮৯ জন ভোটার।