তিন পার্বত্য জেলায় হরতাল চলছে

Slider সারাদেশ

568db25b887911b6c3277efb0397b907-manikganj

রাঙামাটি; তিন পার্বত্য জেলায় পাঁচ বাঙালি সংগঠনের ডাকা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাসের প্রতিবাদে ও বান্দরবানের গ্রেপ্তার বাঙালি নেতা আ​িতকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে এই হরতাল ডাকা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামী রোববার দুই দফায় ২৪ ঘণ্টা করে হরতাল চলবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী, কলেজ গেট, বনরূপা, কাঁঠালতলী, ফিসারী ঘাট, পুরাতন বাস স্টেশন, রিজার্ভ বাজার ও তবলছড়ি এলাকায় হরতালের সমর্থনে পিকেটিং চলছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

সড়ক ও নৌপথে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলছে না। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজন হেঁটে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।

হরতাল পালনকারী সংগঠন পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য গণ পরিষদ, পার্বত্য সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা ভোর থেকে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় পিকেটিং করছে।

রাঙামাটি পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাঈদ তারিকুল হাসানের ভাষ্য, হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

গত ৬ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়। এর আগে এ বছরের ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন (সংশোধন) ২০১৬ চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। ৫ আগস্ট সংশোধনী আইনে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন এবং ৮ আগস্ট তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সভাপতি ও বাঙালিদের পাঁচটি সংগঠনের আহ্বায়ক আক্কাস আল মামুন মঙ্গলবার  বলেন, ‘পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনীতে শুধু উপজাতীয়দের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলার প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ হাজার ৬২০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের ভূমির কবুলিয়ত দেওয়ার সময় প্রথা, রীতি ও পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। তাই তারা সবাই ভূমি হারাবে। অথচ তাদের রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পুনর্বাসন করা হয়েছিল।’

আক্কাস আল মামুন আরও বলেন, ‘ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে স্থানীয় কোনো বাঙালি প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। আমরা মনে করি, আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সার্কেল-প্রধানের প্রতিনিধিরা কোনোভাবে জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের প্রভাবমুক্ত হতে পারবেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *