ডেস্ক; আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় জরুরি ডিক্রি জারি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। বিদেশে কর্মরত সব কূটনীতিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের জরুরি ভিত্তিতে দেশে ফেরত পাঠাতে। কারণ, তিনি মনে করছেন বিশ্বে আরেকটি নতুন যুদ্ধ ঘনিয়ে আসছে।
এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন এক্সপ্রেস। এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সব শ্রেণীর কূটনীতিককে নির্দেশ দিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনদের দেশে ফেরত পাঠাতে। এর আওতায় পড়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সব শ্রেণীর মানুষ। তাদেরকে অবিলম্বে বিদেশের স্কুলগুলোতে অধ্যয়নরত তাদের ছেলেমেয়েদের দেশে ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে ওই ডিক্রিতে। দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকাকে রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষক স্টানিস্লাভ বেলকোভস্্িক বলেছেন, এটা হলো অভিহহাতদের জন্য একটি বড় যুুদ্ধের প্রস্তুতি। তবে এক্ষেত্রে বড় ভয়ের বিষয় হলো, ভøাদিমির পুতিন অকস্মাৎ ফ্রান্স সফর বাতিল করেছেন। একই নির্দেশ জারি করা হয়েছে সরকারি সব কর্মকর্তা, কর্মচারীর ক্ষেত্রেও। বিভিন্ন পেশার লোকজনকে ববলা হয়েছে তাদের সন্তানদের অবিলম্বে স্কুল থেকে প্রত্যাহার করে নিতে। এমনকি যদি তারা শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝিও থাকে, তাহলেও এমনটা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি কেউ এ ডিক্রি বা নির্দেশ অমান্য কওে তাহলে তার পদোন্নতি পাওয়ার বিষয়টি ঝুঁকিতে পড়বে বলে স্থানীয় মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে। পুতিনের সর্বশেষ ফ্রান্স সফর বাতিল মস্কো ও পশ্চিমাদের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাশিয়ার যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন তাদেরকে রাশিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিফট হতে বলা হয়েছে। বয়োবৃদ্ধ নাগরিকদেরও রাশিয়ায় ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সূত্রগুলো বলেছেন, রাশিয়ার রাজনৈতিক অভিজাত শ্রেণীর মানুষ যখন দেশপ্রেমের কথা বলেন, তখন তাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা শিখছে। তাদের চারপাশে ঘিরে থাকে রাশিয়ার শত্রুরা। এতে রাশিয়ার কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ। এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছিলেন, সিরিয়া যুদ্ধেও জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সমঝোতায় আসতেই হবে। তিনি বলেছিলেন, পিতামাতা সুলব আচরণ দেখাতে হবে। একে অন্যেও স্বার্থের বিষয়টি আমলে নিতে হবে। এ জন্য আমরা প্রস্তুত। এ ছাড়া ফ্রান্সের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শাণান পুতিন। তিনি অভিযোগ করেন যে, সিরিয়া বিষয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার জন্য মস্কোকে নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে।