ঢাকা; বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৯০ আর ২০১৬ সাল এক নয়। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতীয় ঐক্য ছাড়া কোনো গণ-অভ্যুত্থান সফল হয়নি। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেনি। তিনি বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির জন্য দলের নেতা-কর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় এ আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত নাজির হোসেন জেহাদের স্মরণে ‘জেহাদ স্মৃতি পরিষদ’ ওই স্মরণসভার আয়োজন করে।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অকল্পনীয় আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৯০ সালের বিশ্ব ও আঞ্চলিক রাজনীতি এবং প্রেক্ষাপট আর এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ’৯০ সালে জেহাদের মৃত্যু পুরো দেশে আগুন জ্বেলে দিয়েছিল। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু তাদের ব্যাপারে আবেগ সৃষ্টি করা যায়নি। মানুষের মধ্যে প্রতিবাদ করার বোধ জাগ্রত করে দিতে হবে। মানুষই একমাত্র ভরসা। অন্য কেউ বিএনপিকে কিছু করে দেবে না।
ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তখনকার পরিস্থিতির কারণে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন হয়নি। ভূরাজনীতি নিজেদের পক্ষে আনা গেলে হয়তো সে বিজয় অর্জিত হতো।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ পছন্দ করে না। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, যে পৃথিবী গণতন্ত্রের কথা বলে তারা শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করছে না। পার্শ্ববর্তী দেশ তাঁকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়গুলো বুঝতে হবে।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দিলে এনজিওর নিবন্ধন বাতিলসংক্রান্ত আইনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন সরকার এনজিওর ওপর চড়াও হয়েছে। এরা কাউকে ছাড়বে না। জাতীয় ঐক্য না হলে কেউ রেহাই পাবে না। সবার মধ্যে বিদ্রোহ আসা উচিত, আন্দোলন আসা উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ-ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি আমানউল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।