ঢাকা; শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা-অষ্টমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করেছেন কুমারী পূজা । সৃষ্টি-স্থিতি-লয়- এই ত্রিবিধ শক্তি বীজ আকারে কুমারীতে ‘নিহিত’, সেই বিশ্বাস থেকেই দেবী দুর্গার কুমারীরূপের আরাধনা করেন ভক্তরা। নারীত্বের বন্দনায় ধ্বনিত হয়, ‘নারী ভোগ্যা নয়, পূজ্যা’। সারা দেশে রামকৃষ্ণ মিশনের মতো ঢাকার গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে রোববার সকালে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। রামকৃষ্ণ মঠে সকাল ১১টায় শুরু হয় কুমারী পূজা। তবে ভক্তদের ভিড় ছিল আরো আগে থেকে। সেখানে এবারের কুমারীর নাম সর্বাণী ভট্টাচার্য বিদ্যা। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার আউপাড়ার বাসিন্দা সে। নারায়ণ ভট্টাচার্য ও অনিতা ভট্টাচার্যের মেয়ে সর্বাণী আউপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। পূজা শেষে বিদ্যা জানিয়েছে “জগতের সকলের কল্যাণ হোক, সেটাই তার প্রার্থনা। জগতের সকলের মঙ্গল হোক, সকলে সুখে শান্তিতে থাকুক। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় মহা-অষ্টমী পূজা শুরু হয়। পূজা পরিচালনা করেন প্রধান পরিচালক গুনেশ চৈতন্য। তন্ত্রধারক ছিলেন মহারাজ তিরাত্নানন্দ। রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুবেশ্বানন্দ কুমারী পূজার মাহাত্ম্য বিষয়ে বলেন, আমাদের নারীদের ওপর অত্যাচার যেন কম হয়, সেজন্য আমরা কুমারী রূপে মায়ের আরাধনা করেছি। আমাদের সকলের মধ্য থেকে যেন আসুরিক ভাব দমন এবং একই সঙ্গে দৈবশক্তি তথা মাতৃশক্তি জাগরিত হোক এটাই মূল কথা। রোববার রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে মহা-অষ্টমী তিথিতে শুরু হয় সন্ধিপূজা। সোমবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে শুরু হবে মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা। মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে দশমী পূজা ও দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গা পূজার মূল আচার।