ঢাকা; নেতার মতোই লড়লেন, ব্যাটে আর বলে সমান দক্ষতায় জেতালেন দলকে। ঝড়োগতির ৪৪ রানের পর তুলে নিলেন টপ-অর্ডারের তিন উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ভর করেই ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের স্বপ্ন এবার দেখতেই পারেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্য হারের হতাশা ৪৮ ঘণ্টা না পেরুতেই দূর করে দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। স্বাগতিকদের ২৩৮ রানের জবাবে সফরকারীদের সংগ্রহ ২০৪। শুক্রবার ২১ রানে হারের বদলা নিলো বাংলাদেশ ৩৪ রানের জয়ে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রকেট ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা। সিরিজের নিষ্পত্তি হবে চট্টগ্রামে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ লড়াইটি হবে বুধবার। অধিনায়ক মাশরাফি টসে হেরেছিলেন কালও। কিন্তু কপালে এবার জোটে আগে ব্যাটিং। ভিন্ন উইকেট, আবহাওয়াও নিষ্প্রভ। ইংলিশ পেসারদের দাপটে নড়বড়ে হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। মাঝে মাহমুদুল্লাহ আর শেষে মাশরাফি-নাসিরের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ২৩৮ রানের পুঁজি পায়। তবে এতেও বাংলাদেশ সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস কমই ছিল। আগের ম্যাচে ৩০৯ করা ইংলিশদের জন্য এ রান কি যথেষ্ট হবে? কিন্তু কৃত্রিম আলোয় ইংলিশদের সব প্রয়াস নস্যাৎ করে দিলো বাংলাদেশের বোলাররা। বলের শুরু করেন এবার স্পিনার সাকিব আল হাসান। তবে প্রথম আঘাত সেই অধিনায়ক মাশরাফির। দলের রান তখন মাত্র ১২, ভিন্স আউট ৫ করে। দুই রান যোগ না হতেই আঘাত সাকিবের। শূন্য রানে সরাসরি বোল্ড আগের খেলায় ৬০ করা ডাকেট। ১০ রান যোগ হতে মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার জেসন রয়। ২৪ রানে তিন উইকেট নেই। এর পরের ওভারে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বেন স্টোকসকে শূন্য হাতেই বোল্ড করেন মাশরাফি। ততক্ষণে রান বেড়েছে মাত্র ২। ২৬ রানে চার উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেটে বেয়ারস্টো-বাটলার জুটি ৭৯ রান যোগ করলে কিছুটা আশার আলো দেখে ইংলিশরা। ১০৫ রানের মাথায় তাসকিনের আঘাতে আউট বেয়ারস্টো। ১০৫ থেকে ২৭ রান যোগ হতে পতন ঘটে আরো চার উইকেট। অনেক দিন পর দলে ফেরা নাসির কেবল ২৭ রানই করেননি। দশ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে তুলে নেন মঈন আলীর উইকেট। আগের খেলায় উইকেট না পাওয়া পেসার তাসকিনও নেন তিন উইকেট। পেস আর স্পিনের দ্বিমুখী আক্রমণে তছনছ হয়ে যায় ইংলিশ প্রতিরোধ।
লেজের জোরেই লড়াইয়ের পুঁজি
সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। দুপুর পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছিল আজ হয়তো বৃষ্টি হানা দিবে ম্যাচেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেঘ সরিয়ে সূর্যের হাসি। তবে এরই মধ্যে মিরপুরের উইকেট পরিণত হয়েছে বোলিং বান্ধব। তাই টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দেয় ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক জস বাটলার। আগের দিন একটু এলোমেলো ইংলিশ পেসাররা এবার চেপে ধরলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে। প্রথম ১৩ ওভারে স্কোর মাত্র ৩৯ রান হল তাও তিন উইকেট হারিয়ে। শেষ পর্যন্ত টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় স্কোর ১১৩ রান হতেই পাঁচ উইকেটের পতন। তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান আউট হলেন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে। তবে হাল ধরেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৭৫ রান করে আউট তিনিও। দলের রান তখন ১৬১/৬। তবে ৮ম উইকেটে মাশরাফি ও নাসির হোসেনের ৬৯ রানে দ্রুতগতির জুটিতে মান রক্ষা হয়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের জন্য স্কোর বোর্ডে ২৩৮ পুঁজি জমা পড়ে ৮ উইকেট হারিয়ে। অথচ প্রথম ওয়ানডেতে টপ অর্ডারের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয়ের দাঁড়প্রান্তে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত জয় হাত ফসকে যায়। ২০১৪ সালের ৯ই অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত ২৮ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় এসেছে ২০ ম্যাচে। ২ বছর ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ব্যাট হাতে টপ অর্ডারের সফলতা ছিল অভাবনীয়। ১০০ রানের মধ্যে পাঁচ ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার ঘটনা গতকালসহ পাঁচবার।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে রকেট ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় এ ম্যাচে তামিম ইকবালকে প্রথম থেকেই একটু এলোমেলো মনে হয়। তবে ইমরুল কিছুটা সাবলিল থাকলেও প্রথম ম্যাচের মতো ব্যাটে গতি ছিল না। স্কোর যখন ৬.৫ ওভারে মাত্র ২৫ রান ইমরুল চেষ্টা করলেন রানের গতি বাড়াতে। ওকসের শর্ট বলটি হাঁকালেন ডিপ স্কয়ার লেগের দিকে। কিন্তু তা সীমানা পার হওয়ার আগেই ধরা পড়লো উইলির হাতে। ইমরুলের পর তামিমও ওকসের শর্ট বলের শিকার। পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে মঈন আলীর হাতে ধরা পড়েন তামিম। এরপর প্রথম ওভারেই সাফল্য পান গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জ্যাকব বল। বাউন্স ঠিকমতো খেলতে না পেরে ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বোল্ড হন রানের জন্য যুদ্ধ করতে থাকা সাব্বির রহমান রুম্মান। ২১ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি। সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সঙ্গী ভায়রা মুশফিকুর রহীম। প্রথম দুই বলেই চার হাঁকানো মুশফিক এ ম্যাচেই বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে পৌঁছান চার হাজার রানে। বেশ কিছু দিন থেকেই ব্যাটিং ছন্দ হারিয়ে ফেলা মুশফিককে বেশ আত্মবিশ্বাসীও মনে হচ্ছিল। কিন্তু একই ভুল। আগের দিনের মতো একই ভুল পুল করতে গিয়ে শেষ ২১ রানে আউট হয়ে। দু’জনের গড়া ৫০ রানের এই জুটি ভাঙার পর আবার বিপদে পড়ে টাইগাররা। এবার অবশ্য ভরসা ছিলেন আগের ম্যাচে ঝড় তুলে দারুণ ইনিংস খেলা সাকিব আল হাসান। কিন্তু বেন স্টোকসের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেট কিপারকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৪ বলে ৩ রান নিয়ে। বলটি তিনি অবশ্য ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাত তুলতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। প্রথম ম্যাচে সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের বাজেভাবে উইকেট বিলিয়ে দেয়া নিয়ে দারুণ সমালোচনা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এই নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। কিন্তু টপ অর্ডারের আউট হওয়ার ধরন দেখে মনে হয়েছে এতে তাদের কিছুই আসে যায় না।
অন্যদিকে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। তরুণ মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটিতে ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু আদিল রশিদের বলে সুইপ করতে গিয়ে বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। আম্পায়ার আউট দেয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন; কিন্তু তাতে সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। ৮৮ বলে ছয়টি চারে ৭৫ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। প্রথম ম্যাচে লেজের উদভ্রান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে বাংলাদেশ হেরে যায়। স্পিনার মোশাররফ হোসেকে বাদ দিয়ে একাদশে আনা হয়েছিল নাসির হোসেনকে। সুযোগটা কাজে লাগাবেন এমনই বিশ্বাস ছিল। কিন্তু নেমেই হারালেন সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেনকে। রশিদের শর্ট বলে বাজে এক শটে ফিরেন এই তরুণ। ১৬৯ রানে দলের সেরা ৭ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দল যখন গভীর সংকটে। তখন ব্যাট হাতে রক্ষা করলেন মাশরাফি। ৮ম উইকেটে নাসিরের সঙ্গে ৮.১ ওভারে গড়েছেন ৬৯ রানের দারুণ জুটি। মঈন আলীর বলে দুই ছক্কায় মাশরাফির শুরু ছিল ঝড়ের মতো। ডেভিড উইলির এক ওভারে একটি ছক্কা-চারে নেন ১৫ রান। নাসির তখন অধিনায়ককে দারুণ ভাবে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। তবে শেষ ওভারে এসে থামে মাশরাফির ৪৪ রানের ইনিংস। ২৯ বলের ইনিংসে দুটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের অধিনায়ক। অন্যপ্রান্তে ২৭ বলে দুটি চারের মারে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির হোসেন।
লেজের জোরেই লড়াইয়ের পুঁজি
সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। দুপুর পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছিল আজ হয়তো বৃষ্টি হানা দিবে ম্যাচেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেঘ সরিয়ে সূর্যের হাসি। তবে এরই মধ্যে মিরপুরের উইকেট পরিণত হয়েছে বোলিং বান্ধব। তাই টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দেয় ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক জস বাটলার। আগের দিন একটু এলোমেলো ইংলিশ পেসাররা এবার চেপে ধরলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে। প্রথম ১৩ ওভারে স্কোর মাত্র ৩৯ রান হল তাও তিন উইকেট হারিয়ে। শেষ পর্যন্ত টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় স্কোর ১১৩ রান হতেই পাঁচ উইকেটের পতন। তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান আউট হলেন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে। তবে হাল ধরেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৭৫ রান করে আউট তিনিও। দলের রান তখন ১৬১/৬। তবে ৮ম উইকেটে মাশরাফি ও নাসির হোসেনের ৬৯ রানে দ্রুতগতির জুটিতে মান রক্ষা হয়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের জন্য স্কোর বোর্ডে ২৩৮ পুঁজি জমা পড়ে ৮ উইকেট হারিয়ে। অথচ প্রথম ওয়ানডেতে টপ অর্ডারের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয়ের দাঁড়প্রান্তে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত জয় হাত ফসকে যায়। ২০১৪ সালের ৯ই অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত ২৮ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় এসেছে ২০ ম্যাচে। ২ বছর ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স। বিশেষ করে ব্যাট হাতে টপ অর্ডারের সফলতা ছিল অভাবনীয়। ১০০ রানের মধ্যে পাঁচ ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার ঘটনা গতকালসহ পাঁচবার।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে রকেট ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় এ ম্যাচে তামিম ইকবালকে প্রথম থেকেই একটু এলোমেলো মনে হয়। তবে ইমরুল কিছুটা সাবলিল থাকলেও প্রথম ম্যাচের মতো ব্যাটে গতি ছিল না। স্কোর যখন ৬.৫ ওভারে মাত্র ২৫ রান ইমরুল চেষ্টা করলেন রানের গতি বাড়াতে। ওকসের শর্ট বলটি হাঁকালেন ডিপ স্কয়ার লেগের দিকে। কিন্তু তা সীমানা পার হওয়ার আগেই ধরা পড়লো উইলির হাতে। ইমরুলের পর তামিমও ওকসের শর্ট বলের শিকার। পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে মঈন আলীর হাতে ধরা পড়েন তামিম। এরপর প্রথম ওভারেই সাফল্য পান গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জ্যাকব বল। বাউন্স ঠিকমতো খেলতে না পেরে ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বোল্ড হন রানের জন্য যুদ্ধ করতে থাকা সাব্বির রহমান রুম্মান। ২১ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি। সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সঙ্গী ভায়রা মুশফিকুর রহীম। প্রথম দুই বলেই চার হাঁকানো মুশফিক এ ম্যাচেই বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে পৌঁছান চার হাজার রানে। বেশ কিছু দিন থেকেই ব্যাটিং ছন্দ হারিয়ে ফেলা মুশফিককে বেশ আত্মবিশ্বাসীও মনে হচ্ছিল। কিন্তু একই ভুল। আগের দিনের মতো একই ভুল পুল করতে গিয়ে শেষ ২১ রানে আউট হয়ে। দু’জনের গড়া ৫০ রানের এই জুটি ভাঙার পর আবার বিপদে পড়ে টাইগাররা। এবার অবশ্য ভরসা ছিলেন আগের ম্যাচে ঝড় তুলে দারুণ ইনিংস খেলা সাকিব আল হাসান। কিন্তু বেন স্টোকসের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেট কিপারকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৪ বলে ৩ রান নিয়ে। বলটি তিনি অবশ্য ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাত তুলতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। প্রথম ম্যাচে সিনিয়র ব্যাটসম্যানদের বাজেভাবে উইকেট বিলিয়ে দেয়া নিয়ে দারুণ সমালোচনা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এই নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে টিম হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। কিন্তু টপ অর্ডারের আউট হওয়ার ধরন দেখে মনে হয়েছে এতে তাদের কিছুই আসে যায় না।
অন্যদিকে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। তরুণ মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটিতে ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু আদিল রশিদের বলে সুইপ করতে গিয়ে বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। আম্পায়ার আউট দেয়ার পর রিভিউ নিয়েছিলেন; কিন্তু তাতে সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। ৮৮ বলে ছয়টি চারে ৭৫ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। প্রথম ম্যাচে লেজের উদভ্রান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে বাংলাদেশ হেরে যায়। স্পিনার মোশাররফ হোসেকে বাদ দিয়ে একাদশে আনা হয়েছিল নাসির হোসেনকে। সুযোগটা কাজে লাগাবেন এমনই বিশ্বাস ছিল। কিন্তু নেমেই হারালেন সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেনকে। রশিদের শর্ট বলে বাজে এক শটে ফিরেন এই তরুণ। ১৬৯ রানে দলের সেরা ৭ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দল যখন গভীর সংকটে। তখন ব্যাট হাতে রক্ষা করলেন মাশরাফি। ৮ম উইকেটে নাসিরের সঙ্গে ৮.১ ওভারে গড়েছেন ৬৯ রানের দারুণ জুটি। মঈন আলীর বলে দুই ছক্কায় মাশরাফির শুরু ছিল ঝড়ের মতো। ডেভিড উইলির এক ওভারে একটি ছক্কা-চারে নেন ১৫ রান। নাসির তখন অধিনায়ককে দারুণ ভাবে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। তবে শেষ ওভারে এসে থামে মাশরাফির ৪৪ রানের ইনিংস। ২৯ বলের ইনিংসে দুটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের অধিনায়ক। অন্যপ্রান্তে ২৭ বলে দুটি চারের মারে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির হোসেন।