ইয়েমেনের একটি দাফন অনুষ্ঠানে অনেক মানুষের উপস্থিতি। এমন সময় সেখানে আকাশ থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। শোক জানাতে যাওয়া এসব মানুষ নিজেরাই মুহূর্তের মধ্যে লাশে পরিণত হলেন। কমপক্ষে ১৪০ জন নিহত হয়েছেন সেখানে। ইয়েমেনে হুতি পরিচালিত সরকার দাবি করেছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ওই হামলা করেছে। কিন্তু সৌদি আরব এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় একটি দাফন অনুষ্ঠানে ওই হামলা চালানো হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। তারপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট মানসুর হাদিকে আবার ক্ষমতায় বসানোর জন্য ইয়েমেনে হামলা করেছে। সেই হামলা শুরুর পর এটাই একদিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা। এ হামলার জন্য জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করেছেন হুতি পরিচালিত সরকারের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী গাজী ইসমাইল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ওই দাফন অনুষ্টানে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এর একটি ভবনের ছাদ বিদির্ণ করে ভিতরে ঢুকে যায়। এ সময় সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জালাল আর রওশনের দাফন অনুষ্ঠান চলছিল। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে রক্তে ভেসে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দ্রুত ছুটে যায় এম্বুলেন্স। শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। একজন চিকিৎসক বলেছেন, ঘটনাস্থলে পোড়া, বীভৎস লাশ পড়ে ছিল। ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক জেমি ম্যাকগোলড্রিক একটি বিবৃতি দিয়েছেন এ বিষয়ে। তিনি বলেছেন, সানার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৪০। আহত হয়েছেন ৫২৫ জন। এ ঘটনায় জাতিসংঘের সহায়তা কর্মীরা অবিলম্বে তদন্ত দাবি করেছেন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যাতে বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষায় তারা চাপ সৃষ্টি করেন।