পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শনিবার সকাল নয়টা থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল গাজীপুর পুলিশের সহায়তায় পাতারটেক এলাকায় একটি দোতলা বাড়ি ঘিরে রাখে। পরে দুপুর ১২টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষ ইউনিট সোয়াট সেখানে অভিযান শুরু করে। অভিযানের নাম ‘অপারেশন স্পেট-এইট’। এটা চলে বিকেল তিনটা পর্যন্ত। অভিযানের আগে ওই দোতলা ভবনে থাকা জঙ্গিদের বারবার আত্মসমর্পণের জন্য হ্যান্ডমাইকে আহ্বান জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার ছারোয়ার হোসেন।
পুলিশ জানায়, আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ভেতর থেকে জঙ্গিরা গুলিবর্ষণ করেন। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে সাত জঙ্গির সবাই নিহত হন। নিহত জঙ্গিদের প্রকৃত পরিচয় জানার জন্য তাঁদের আঙুলের ছাপ ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল, কিছু চাপাতি ও একটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া গতকাল সকাল আটটার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার হাঁড়িনালে একটি বাড়িতে এই অভিযানে নিহত হন দুজন।
ওসি আরও জানান, নয়টি লাশ উদ্ধার করে গতকালই গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে। লাশের পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।