স্মারকলিপিতে চার দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এগুলো হচ্ছে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো, খাদিজার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, খাদিজার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা এবং ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ছাত্রীরা বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করে নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে যান। সেখানে তাঁরা চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পর শিক্ষকদের অনুরোধে ছাত্রীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
খাদিজা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির মুখপাত্র কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ফজিলাতুন্নেসা বলেন, ‘শিক্ষকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তৈরি করে আমরা কোনো কর্মসূচি করব না। তবে প্রতিদিনই আমাদের কর্মসূচি থাকবে। সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সকাল থেকে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সামনে বিভিন্ন সংগঠন খাদিজার ওপর হামলাকারী বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এসব সংগঠনের মধ্যে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, জৈন্তিয়া ছিন্নমূল সংস্থা, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, ন্যাশনালিস্ট অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম ও সিলেট ফ্রেন্ডস ক্লাব রয়েছে।
গত সোমবার বিকেলে সিলেট এমসি কলেজের পরীক্ষা হল থেকে বের হওয়ার পথে চাপাতি দিয়ে খাদিজাকে কুপিয়ে আহত করেন ছাত্রলীগ নেতা বদরুল। খাদিজার সহপাঠীসহ স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে একদফা অস্ত্রোপচার শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।