ঢাকা; বিতর্কিত কাশ্মীর ভূখণ্ডের ডি ফ্যাক্টো সীমান্তে গুলিবিনিময় করেছে ভারত ও পাকিস্তান। পারমাণবিক ক্ষমতাধর এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল এ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। উভয় দেশের সামরিক বাহিনী গুলিবর্ষণের জন্য অপর পক্ষকে দায়ী করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয় এ গুলিবিনিময়ের ঘটনায় কোনো প্রাণহানি হয় নি। তবে এ পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে।
ভারতের এক সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা গতকাল বলেন, ‘জম্মুর আখনুর এলাকার পল্লনওয়ালা সেক্টরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানি সেনারা। তারা হালকা অস্ত্র ব্যবহার করে আমাদের পাঁচটি পোস্ট টার্গেট করে এবং আমরা পাল্টা জবাব দেই ও গুলি করি। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।’ ওদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, উস্কানিবিহীন ভারতীয় গুলিবর্ষণের যথাযথ জবাব দিয়েছে তাদের সেনারা।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রবেশ করে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ওপর ভারতীয় সেনাদের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর দুদিন পর এ গুলিবিনিময় ঘটলো। পাকিস্তান অবশ্য দাবি করেছে কথিত ওই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনা ঘটেনি। গতমাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনার পর দু’দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। উরির ওই হামলায় ১৮ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। ভারতের দাবি পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা এসে ওই হামলা চালিয়েছিল। পাকিস্তান কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে।
দিল্লিসহ ৬ রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা: বিদ্যমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সহ ৬টি রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এগুলো হলো- নয়াদিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট। এসব রাজ্যে কৌশলগত স্থাপনা, জনবহুল এলাকা, ঐতিহাসিক নিদর্শন, সরকারি ভবন ও বিমানবন্দরগুলোতে শুক্রবার এ এলার্ট জারি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, দিল্লিতে সশস্ত্র ভারি হামলা চালাতে পারে পাকিস্তানের আইএসআই। তাদের বড় টার্গেট হতে পারে মেট্রোরেলগুলো। বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলেছে, ভারতের রাজধানীতে পাকিস্তানের আইএসআই সরাসরি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভারি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জোরালো আশঙ্কা আছে। ওদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ কারণে ভারতে হামলা চালাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবিষয়ক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন। এতে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বড় ধরনের প্রতিশোধ নিতে পারে পাকিস্তানসমর্থিত সন্ত্রাসীরা। সূত্র বলেছেন, পর্যালোচনামূলক ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা একে দোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব মেহর্ষি, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ও ‘র’-এর প্রধানরা। ওদিকে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, দেশজুড়ে উচ্চ সতর্কতা অক্টোবরজুড়ে অব্যাহত থাকবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পাকিস্তান ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ প্রতিশোধ নিতে পারে।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাপ্রধান দলবির সিং:
সীমান্তে গুলিবিনিময় হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গতকাল সেখানে যান ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল দলবির সিং। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, জেনারেল দলবির ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ অংশ নেয়া কর্মকর্তা ও সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি আর্মি ক্যাডার ও কর্পসের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, আমরা অনুধাবন করতে পারি যে, পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে যোগাযোগ চলছে। আমরা বিশ্বাস করি, অব্যাহত এই যোগাযোগ তাদের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিতভাবেই আমরা এ উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাক এমনটা দেখতে চাই না। এই যোগাযোগ বা আলোচনা ভেঙে যাক এমনটাও সুনিশ্চিতভাবে আমরা দেখতে চাই না।
ভারতের এক সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা গতকাল বলেন, ‘জম্মুর আখনুর এলাকার পল্লনওয়ালা সেক্টরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানি সেনারা। তারা হালকা অস্ত্র ব্যবহার করে আমাদের পাঁচটি পোস্ট টার্গেট করে এবং আমরা পাল্টা জবাব দেই ও গুলি করি। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।’ ওদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, উস্কানিবিহীন ভারতীয় গুলিবর্ষণের যথাযথ জবাব দিয়েছে তাদের সেনারা।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রবেশ করে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ওপর ভারতীয় সেনাদের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর দুদিন পর এ গুলিবিনিময় ঘটলো। পাকিস্তান অবশ্য দাবি করেছে কথিত ওই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনা ঘটেনি। গতমাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একটি সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনার পর দু’দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। উরির ওই হামলায় ১৮ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। ভারতের দাবি পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা এসে ওই হামলা চালিয়েছিল। পাকিস্তান কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে।
দিল্লিসহ ৬ রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা: বিদ্যমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি সহ ৬টি রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এগুলো হলো- নয়াদিল্লি, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট। এসব রাজ্যে কৌশলগত স্থাপনা, জনবহুল এলাকা, ঐতিহাসিক নিদর্শন, সরকারি ভবন ও বিমানবন্দরগুলোতে শুক্রবার এ এলার্ট জারি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, দিল্লিতে সশস্ত্র ভারি হামলা চালাতে পারে পাকিস্তানের আইএসআই। তাদের বড় টার্গেট হতে পারে মেট্রোরেলগুলো। বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলেছে, ভারতের রাজধানীতে পাকিস্তানের আইএসআই সরাসরি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভারি সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জোরালো আশঙ্কা আছে। ওদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ কারণে ভারতে হামলা চালাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবিষয়ক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেছেন। এতে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বড় ধরনের প্রতিশোধ নিতে পারে পাকিস্তানসমর্থিত সন্ত্রাসীরা। সূত্র বলেছেন, পর্যালোচনামূলক ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা একে দোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব মেহর্ষি, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ও ‘র’-এর প্রধানরা। ওদিকে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, দেশজুড়ে উচ্চ সতর্কতা অক্টোবরজুড়ে অব্যাহত থাকবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পাকিস্তান ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ প্রতিশোধ নিতে পারে।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাপ্রধান দলবির সিং:
সীমান্তে গুলিবিনিময় হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গতকাল সেখানে যান ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল দলবির সিং। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, জেনারেল দলবির ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ অংশ নেয়া কর্মকর্তা ও সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি আর্মি ক্যাডার ও কর্পসের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।
উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, আমরা অনুধাবন করতে পারি যে, পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে যোগাযোগ চলছে। আমরা বিশ্বাস করি, অব্যাহত এই যোগাযোগ তাদের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিতভাবেই আমরা এ উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাক এমনটা দেখতে চাই না। এই যোগাযোগ বা আলোচনা ভেঙে যাক এমনটাও সুনিশ্চিতভাবে আমরা দেখতে চাই না।