ঢাকা; বাংলাদেশের জন্য আজকের ম্যাচটি শুধু সিরিজ জেতার নয়; হিরের চেয়েও দামি মূল্যবান ৪টি রেটিং পয়েন্ট ধরে রাখার। আর সেই লড়াইয়ে দারুণভাবে দলকে এগিয়ে রাখলেন তামিম ইকবাল। এবার আর ফিফটিটাকে সেঞ্চুরি বানাতে ভুল হয়নি। তামিমের ১১৮, সাব্বিরের ৬৫ আর দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ১৪০ রানের জুটি বাংলাদেশকে ভিত্তিটা এনে দিয়েছিল। সেই ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে যতটা ঝড় ওঠার কথা ছিল শেষ ১০ ওভারে, তা হয়নি। তবে শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ৩২ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ পেল ২৭৯ রানের স্কোর।
দারুণ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তামিম। সঙ্গী সৌম্য সরকার ১১ রান করে ফিরে গেলে সাব্বিরের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন তামিম। এই জুটি পার করে দেয় ২৪.৪ ওভার। এই জুটির কারণেই ৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১৫৭। সাধারণত হাতে এত উইকেট থাকলে ৩০ ওভারের স্কোরটি শেষের দিকে দ্বিগুণ হয়। তবে ৩৮ ওভারের পর থেকে বাংলাদেশ যেভাবে শামুকে সওয়ার হলো, তাতে ২৭৯ এখন মনে হচ্ছে অনেক বড় স্কোর।
সমান বলে ১১৮ রান করা তামিম ৩৯ ওভারে যেই ফিরলেন, বাংলাদেশও যেন ধুঁকতে শুরু করল। এর আগে সাব্বিরও ফিরে গেছেন ৩১তম ওভারে। সাকিবকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের পক্ষে এককভাবে সর্বোচ্চ সাতটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা তামিম নিজের কাজটা ঠিকমতো করলেও দলের বাকিরা হাল ধরতে পারলেন না।
সাকিব–মুশফিক সেট হয়েও ফিরেছেন। গত ওয়ানডেতে নজরকাড়া মোসাদ্দেক সেটই হতে পারলেন না। আট বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা মোশাররফ আউট হওয়ার পর দর্শক কেন এত হাততালিতে মেতে উঠল, সেটা ২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটই বলে দিচ্ছে। ৩৯ থেকে ৪৭—এই ৯ ওভারে বাংলাদেশ তুলল মাত্র ৩৫ রান, ৪ উইকেট হারিয়ে।
২২ বলে ৩২ করা মাহমুদউল্লাহর কারণেই শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশ ৩৩ তুলেছে। না হলে স্কোরটা তো আরও কমেই আটকে যায়! আফগানদের বিপক্ষে নিজেদের নতুন সর্বোচ্চ স্কোরটা পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার শততম জয়ের অপেক্ষা। ৪ পয়েন্ট ধরে রাখার অপেক্ষা। আর অপেক্ষা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিশন শুরুর আগে নিখুঁত সমাপ্তি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২৭৯/৮ (তামিম ১১৮, সৌম্য ১১, সাব্বির ৬৫, সাকিব ১৭, মুশফিক ১২, মাহমুদউল্লাহ ৩২*, মোসাদ্দেক ৪, মোশাররফ ৪, মাশরাফি ২, শফিউল ২*; নবী ২/৪১, দওলত ১/৫৮, মিরওয়াইস ২/৪৩, রশিদ ২/৩৯, রহমত ১/৫৯।
(প্রথম ইনিংস শেষে)