গতকাল বৃহস্পতিবার শহিদুল ইসলাম বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রায় ৪৫ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজের দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল গত বুধবার বেলা একটা। তিনি কয়েকজন ঠিকাদারকে সঙ্গে নিয়ে ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চারটি যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্র জমা দিতে এসপি কার্যালয়ে যান। সেখানে একদল দুর্বৃত্ত পিস্তলের ভয় দেখায়। তাঁর পরনের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলে টানাহেঁচড়া করে। এর আগেই দরপত্রের বাক্স সরিয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করে বুধবার বিকেলে থানায় লিখিত এজাহার দেন তিনি।
কারও নাম উল্লেখ না করে শহিদুল বলেন, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগেরই একজন নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। এ কারণে পুলিশ এজাহারটি হামলা হিসেবে নথিভুক্ত করছে না।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘এজাহার থানায় জমা দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতা শহিদুল আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু এজাহারটি এখনো আমার হাতে আসেনি। হাতে আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোর পুলিশ সুপার অফিসে আহত; জেলা আ:লীগ সভাপতির মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ
যশোরে পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে দরপত্র জমা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় এজাহার দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট বলে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।