আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সিদ্ধান্ত প্রস্তাব ও সংশোধনীর ওপর দেওয়া বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের সকল স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যে রক্তক্ষরণ বাঙালি জাতির শুরু হয়েছে, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাক্ষী ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা পড়লে যে কারওই চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আজ যে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি এই টাস্কফোর্সের এক সভায় হত্যাকারীদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কোনো স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে থাকার অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধু আইন মেনে রাজনীতি করেছেন। তাঁর সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আইনমাফিক চলতে চান। তাই তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সাধারণ আইনে করেছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, তারা বাংলাদেশে কোনো সম্পত্তি রাখার অধিকার রাখে না। হত্যাকারীদের মধ্যে যারা পলাতক, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে কোনো নতুন আইনের প্রয়োজন হবে না। তবে যাদের দণ্ড কার্যকর হয়েছে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হলে নতুন আইনের প্রয়োজন। এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি আইন সংসদে পাস করার জন্য উত্থাপন করা হবে। এ ছাড়া একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ব্যাপারেও ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে।
আইনমন্ত্রী সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। পরে কণ্ঠভোটে তা সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।