এর আগে বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে কবির মরদেহ কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজমাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কুড়িগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কবির মরদেহ যৌথভাবে গ্রহণ করেন জেলা পরিষদের প্রশাসক জাফর আলী, জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আবদুল জলিল, জেলা পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ ও কলেজের অধ্যক্ষ সাবিহা খাতুন। এ সময় কবির স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক, ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক, পুত্রবধূ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
হেলিকপ্টার থেকে কবির মরদেহ নামিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে রাখা হয়। সেখানে সকাল থেকে অপেক্ষায় থাকা কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাটসহ আশপাশের এলাকা থেকে হাজারো মানুষ কবির মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের মাঠে কবির ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক কুড়িগ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘রাষ্ট্র আমার বাবার জন্য যা করেছে, তার জন্য আমাদের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী বাবাকে আমরা কুড়িগ্রামে নিয়ে এসে দাফন করলাম।’ এ সময় কবির স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হক, পুত্রবধূ, পরিবারের অন্য সদস্য, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
কবির মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজমাঠে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃত্বে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, রংপুর থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (আম্বিয়া), সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ, শিখা সংসদ, লালমনিরহাট থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।