‘আমি খুব খুশি হয়েছি। আমি আনন্দিত। এটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানাই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা চিঠির উত্তর হাতে পেয়ে এ অনুভূতি প্রকাশ করেন পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় ওই বিদ্যালয় মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিটি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী। ১৫ই আগস্ট পটুয়াখালীর পায়রা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিন পৃষ্ঠার হাতে লেখা একটি চিঠি শীর্ষেন্দু ১৬ই আগস্ট তার মা শিলা রানী সন্নামতের মাধ্যমে ডাকযোগে পোস্ট করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিঠিটি পেয়ে ৮ই সেপ্টেম্বর স্বাক্ষর দিয়ে শীর্ষেন্দুর কাছে উত্তর পাঠান ডাকযোগে। ২০শে সেপ্টেম্বর ওই চিঠি জুবিলী স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। গতকাল আনুষ্ঠানিক ভাবে শীর্ষেন্দুর হাতে ওই চিঠি তুলে দেয়া হয়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- খান মোশরেফ হোসেন, তারিকুজ্জামান মনি, কাজী আলমগীর হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক ও সুলতান আহমেদ মৃধা।
চিঠি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শীর্ষেন্দুর দাদু মুক্তিযোদ্ধা অভিনাশ চন্দ্র সন্নামত বলেন, ’৭১ সালে যুদ্ধ করেছি দেশ স্বাধীনের জন্য, আর আমার নাতি এখন মানুষের দুর্ভোগ লাগবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে চেষ্টা করছে। ওর এই কর্ম আমাদের সকলকে ধন্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী একটি শিশুর চিঠি পেয়ে তা গুরুত্বের সঙ্গে পড়ে সেই চিঠির উত্তর পাঠিয়েছেন- এ জন্য আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে শীর্ষেন্দুর লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ জুবিলী স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী। এছাড়া পটুয়াখালী জেলা পরিষদের প্রশাসক খান মোশারেফ হোসেন শীর্ষেন্দুর জন্য জেলা পরিষদের তহবিল থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ মৃধা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শীর্ষেন্দুর জন্য দশ হাজার টাকা দেয়ারও ঘোষণা দেন।
চিঠি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শীর্ষেন্দুর দাদু মুক্তিযোদ্ধা অভিনাশ চন্দ্র সন্নামত বলেন, ’৭১ সালে যুদ্ধ করেছি দেশ স্বাধীনের জন্য, আর আমার নাতি এখন মানুষের দুর্ভোগ লাগবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে চেষ্টা করছে। ওর এই কর্ম আমাদের সকলকে ধন্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী একটি শিশুর চিঠি পেয়ে তা গুরুত্বের সঙ্গে পড়ে সেই চিঠির উত্তর পাঠিয়েছেন- এ জন্য আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে শীর্ষেন্দুর লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ জুবিলী স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী। এছাড়া পটুয়াখালী জেলা পরিষদের প্রশাসক খান মোশারেফ হোসেন শীর্ষেন্দুর জন্য জেলা পরিষদের তহবিল থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ মৃধা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শীর্ষেন্দুর জন্য দশ হাজার টাকা দেয়ারও ঘোষণা দেন।
এদিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, শীর্ষেন্দুর একটি চিঠি পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ওই শিশুটির স্বপ্নের সেতু নির্মানের নির্দেশ েএসেছে। এখন আনুষ্ঠানিকতা চলছে।