সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। আজ সেখানকার স্থানীয় সময় রাত ৯টায় এবারের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে অংশ নেবেন হিলারি ক্লিনটন ও ডনাল্ড ট্রাম্প। মূলত এশিয়ার স্থানীয় সময় জোনের হিসাবে এ বিতর্ক হবে মঙ্গলবার সকালে। দু’প্রার্থীর মধ্যে তিন দফা বিতর্ক হবে। তার মধ্যে এটিই হবে প্রথম। আগামী ৮ই নভেম্বরের নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্র কেমন হবে, দু’প্রার্থীর বিতর্কে তার কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসবে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বনেতা হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে তাই এ বিতর্কের দিকে তাকিয়ে আছে সারা বিশ্ব। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীরা থমকে আছেন। তারা বিতর্ক দেখে গতি প্রকৃতি নির্ধারণ করবেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স রিপোর্ট করেছে যে, এরই মধ্যে সোমবার এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোতে দরপতন লক্ষ্য করা গেছে। জাপানের বাইরে এশিয়া-প্যাসিফিকের শেয়ার .এমআইএপিজে০০০০পিইউএস-এর দরপতন হয়েছে শতকরা ০.১ ভাগ। দিনের শুরুতে এমনটা দেখা গেছে। জাপানের নিক্কি স্টকের সূচক .এন২২৫ পতন হয়েছে শতকরা ০.৫ ভাগ। ওদিকে ওয়াল স্ট্রিট গত সপ্তাহে লাভের মুখ দেখেছে। কিন্তু শুক্রবার লোকসানের মুখে পড়ে তারা। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ তার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখে। তারপর দু’মাসেরও বেশি সময় পরে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ পারফরমেন্স করেছে। ওদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন নির্বাচনের ফল কি হবে তা নির্ধারণের জন্য সোমবারের এ বিতর্ক হবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর। রয়টার্স/ইপসোসের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, এখনও যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা প্রায় ২০ ভাগ ভোটার তাদের সিদ্ধান্ত স্থির করেন নি যে, তারা কাকে ভোট দেবেন। কিন্তু এখন থেকে চার বছর আগে এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১২ ভাগ। সে হিসাবে এবারের এ সংখ্যা অনেক বেশি। হিলারি ক্লিনটনের দু’জন শীর্ষ স্থানীয় প্রচারণাকর্মী বলেছেন, প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ডনাল্ড ট্রাম্পকে তার নীতির বিষয়ে অধিক স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করবেন হিলারি ক্লিনটন। ওদিকে বস্টন ফেডারেলের প্রেসিডেন্ট এরিক রোজেনগ্রেন শুক্রবার বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প-মেয়াদে সুদের হার বৃদ্ধি করা উচিত। তার মতে যদি কর্মহীনের হার কমানো না যায় তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতায় অর্থনীতিতে ক্ষতি করবে।